এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ শশীধর জগদীশন, অর্থবর্ষ ২৩-এ সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করলেন। ২০২৩ অর্থবর্ষে তার পারিশ্রমিক ১০.৫৫ কোটিতে পৌঁছেছে। এই বছর তার পারিশ্রমিক উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে ৬২ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে৷
জগদীশনের সহকর্মী কাইজাদ ভারুচা, সম্পদের দিক থেকে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী ব্যাঙ্কের উপ-ব্যবস্থাপনার পরিচালক। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বাজার মূলধনের ভিত্তিতে এইচডিএফসি ব্যাংক বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ব্যাঙ্কের স্থান অর্জন করেছে। ২০২৩ অর্থবছরের এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ১০.৩৩ কোটি আয় করেছে, এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ব্যাঙ্ক হিসাবে নিজেদের স্থান দখল করেছে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক-এর সিইও অমিতাভ চৌধুরী অর্থবর্ষ ২০২৩-এ পে-আউট হিসাবে ৯.৭৫ কোটি টাকা পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারী হয়েছেন৷ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সন্দীপ বক্সী অর্থবর্ষ ২০২৩-এ পে-আউট হিসাবে ৯.৬০ কোটি পেয়েছেন৷ উদয় কোটাক, যিনি কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের ২৬ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক, তিনি অর্থবর্ষ ২০২৩-এ পারিশ্রমিক হিসাবে এক টাকা নিয়েছেন৷ তিনি করোনা মহামারীর সময় যখন ব্যাঙ্কের অবস্থা খারাপ ছিল, তখনও পারিশ্রমিক হিসাবে এক টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
কোটাক মাহিন্দ্রা কর্মীদের গড় পারিশ্রমিক ১৬.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কর্মীদের গড় বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক কর্মীদের গড় বেতন বৃদ্ধি করেছে প্রায় ৭.৬ শতাংশ, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২৩-এ কর্মচারীদের গড় পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে ২.১৫ শতাংশ। কোচি ভিত্তিক ফেডারেল ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে অর্থবর্ষ ২০২৩-এ গড় বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ২.৬৭ শতাংশ ।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের সিইও-কে ২.৮২ কোটির মূল বেতন, ৩.৩১ কোটির ভাতা, ৩৩.৯২ লাখের একটি ভবিষ্যৎ তহবিল দেওয়া হয়েছে। এর সাথে জগদীশনের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকার বোনাস দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অর্থবর্ষ ২০২২-এর তুলনায় জগদীশনের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও বক্সীর সামগ্রিক পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ শতাংশ।