কথা ছিল গোয়াতে স্ত্রীকে হানিমুনে নিয়ে যাবেন স্বামী। কিন্তু সেই জায়গায় তাঁকে অযোধ্য়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। আর তারপরই একেবারে রেগে লাল ভূপালের বাসিন্দা ওই মহিলা। তিনি ডিভোর্স চেয়েছেন বলে খবর।
ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পারিবারিক আদালতে মামলা যায়। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসার ১০দিনের মধ্য়েই মহিলা ডিভোর্স চেয়ে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন।
ডিভোর্সের আবেদনে মহিলা জানিয়েছেন, স্বামী আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। ভালোই আয় করেন। তিনিও ভালো মাইনে পান। সেক্ষেত্রে বিদেশে হানিমুন করতে যাওয়ার কোনও সমস্যা ছিল না। মহিলার দাবি, স্বামী বিদেশে হানিমুনে যেতে চায়নি। কারণ তাকে বাবা মাকে দেখতে হত। তারপর স্বামী জানিয়েছিল দেশের মধ্য়েই কোথায় যাবে। এরপর স্ত্রী জানিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারত আর গোয়াতে যাওয়া হোক। কিন্তু স্বামী অযোধ্য়া আর বারাণসী যাওয়ার বিমানের টিকিট বুক করেন। এদিকে অযোধ্য়া যাওয়ার আগের দিন স্বামী জানান, মা বলছে অযোধ্য়া যাব রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে। সেকারণে গোয়া যাচ্ছি না।
সেই সময় স্ত্রী কিচ্ছু বলেননি। তবে বেড়িয়ে ফিরে এসেই তিনি পারিবারিক আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেন। তবে আপাতত ওই দম্পতির কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আসলে হানিমুন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন ওই মহিলা। সেকারণে অযোধ্য়ার কথা শুনেই তিনি রেগে যান। কিন্তু সেই সময় কিছু না বলে তিনি ফিরে এসেই মামলা করলেন। তার দাবি স্বামী তার প্রতি একেবারেই নজর দেন না। পরিবারের অন্যান্যদের প্রতি তার বেশি নজর।