ছোটদের প্রিয় পানীয় হরলিক্স এখন আর স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। হরলিক্স এবং বুস্টের মতো একাধিক ব্র্যান্ডের মালিক হিন্দুস্তান ইউনিলিভার (HUL), হরলিক্স এর স্বাস্থ্যকর পানীয় লেবেলটি সরিয়ে নিয়েছে। এবার থেকে এটি কার্যকরী পুষ্টিকর পানীয় হিসাবে পরিচিত হবে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের আদেশের পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুস্তান। এ প্রসঙ্গে কোম্পানির রিতেশ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে, ক্যাটাগরি পরিবর্তন করলে সুবিধা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার গ্রাহক বৃদ্ধি, তাদের পণ্যের ব্যবহার এবং কার্যকরী পুষ্টিকর পানীয় বিভাগে আরও নতুন ও স্বাস্থ্যকর পণ্য নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। গ্রাহকদের আরও সুবিধা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে। কোম্পানিটি এখন ডায়াবিটিস এবং মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে নতুন পণ্য আনার কথাও ভাবছে।
- এনসিপিসিআর উদ্বেগ প্রকাশ করার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR) সম্প্রতি বলেছিল যে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০০৬ এর অধীনে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের কোনও সংজ্ঞা নেই। এর পরে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) সমস্ত ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিকে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বিভাগ থেকে দুগ্ধ, শস্য বা মল্ট থেকে তৈরি পানীয়গুলি সরিয়ে দিতে বলেছিল। আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও যদি এগুলিকে ওই বিভাগের অধীনে রাখা হত, তাহলে এটি নিয়মের বিরোধিতা হত। এমনকি হেলথ ড্রিংক বলে হরলিক্স যে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করে। সেটিও পরিবর্তন করার কথা বলা হয়েছে, যাতে গ্রাহকদের কোনও বিভ্রান্তি না হয়।
আসলে কয়েকদিন ধরেই ভারতের বিভিন্ন পণ্য বিতর্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেমন এমডিএইচ এবং এভারেস্ট কোম্পানির চারটি মশলায় কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। ওদিকে আবার রিপোর্ট অনুসারে, নেসলে ভারত প্রায় সমস্ত বেবি সেরেলাক পণ্যের প্রতিটিটিতেই গড়ে তিন গ্রাম চিনি যোগ করে। একই সময়ে, ৬ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের জন্য বিক্রি করা ১০০ গ্রাম সেরেলাকের মধ্যে মোট ২৪ গ্রাম চিনি রয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মন্ডেলেজের মালিকানাধীন বোর্নভিটায় চিনির উচ্চ মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। এর পর ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে হেলথ ড্রিংক থেকে বোর্নভিটা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। এর বাইরে নেসলে-এর অন্যান্য পণ্যও তদন্তের আওতায় এসেছে, যেখান থেকে জানা গিয়েছে যে কোম্পানিটি ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশে বিক্রি হওয়া শিশুর দুধে চিনি যোগ করছে, কিন্তু ইউরোপ বা অন্যান্য উন্নত দেশে তা করা হয়নি।