ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় ভার্চুয়াল কারেন্সিই কি ভবিষ্যৎ? সেই ভাবনাই শনিবার উষ্কে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
'ব্লক চেইন উদীয়মান প্রযুক্তি। ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরণের ডিজিটাল মুদ্রা। আমার মতে, যেকোনও নতুন ভাবনাকে আমাদের খোলা মনে ভাল করে যাচাই ও উৎসাহ প্রদান করা উচিত,' শনিবার ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে এমনই মত প্রকাশ করলেন অনুরাগ ঠাকুর।
'এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠিত হয়েছিল। কমিটির মতামতের উপর ভিত্তি করেই প্রয়োজন হলে সরকার সংসদে কোনও আইনি প্রস্তাব আনবে,' জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যত কী? সে বিষয় এখনই খোলসা করছে না কেন্দ্র। গত ২০১৮ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সিক উদীয়মান বাজারে সেটিকে দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মোদী সরকার।
'কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার কমিটি তৈরী করা হয়েছে। এই কমিটি দেশে বিটকয়েন জাতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারের বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধা, ঝুঁকি- ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে দেখবে,' গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
রিপোর্ট প্রকাশ করেছে উক্ত কমিটিও। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন কোনও ভার্চুয়াল কারেন্সিই একমাত্র পথ। বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তার বিরোধিতাই করে কমিটি। এছাড়া বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্র বিলের মাধ্যমে দেশে বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনাও জানিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সরকারি ভার্চুয়াল কারেন্সি বাজারে আনার কথাও জানানো হয়েছে। এবার কী তবে সেই কাজই আর কিছুটা এগোল?
পর্যাপ্ত নিয়মাবলী, আইন ও নিয়ন্ত্রণবিধি প্রস্তুতির পরেই সরকারি ভার্চুয়াল কারেন্সি আনা হবে বলে এর আগেও জানিয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কী?
সহজ করে বললে, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক প্রকার সাংকেতিক মুদ্রা। এর কোনও কাগজী রূপ নেই। শুধুমাত্র ইন্টারনেটেই এটির অস্তিত্ব রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সাধারণ টাকার মতোই লেনদেন করা সম্ভব।
বাস্তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি পিয়ার টু পিয়ার পদ্ধতিতে লেনদেনে সাহায্য করে। ফলে এতে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির প্রয়োজন বা ভূমিকা থাকে না। সম্ভব নয় নিয়ন্ত্রণও।
ক্রিপ্টোকারেন্সির এই প্রকৃতিই কেন্দ্রের মাথা ব্যথার কারণ। কেন্দ্রের আশঙ্কা, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লুকিয়ে লেনদেন, আর্থিক নয়-ছয় হলেও থাকবে না নিয়ন্ত্রণের উপায়। আর সে কারণেই সরকারি ভার্চুয়াল মুদ্রাই এখন লক্ষ্য কেন্দ্রের।