২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেই নরেন্দ্র মোদীকে হারাতেই এখন তিনি ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। নিজে রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন করবেন করেও করছেন না... তবে ভারতীয় রাজনীতিতে এখন অন্যতম বড় নাম : প্রশান্ত কিশোর। আর ২০২৪ সালকে পাখির চোখ করেই যে প্রশান্ত কিশোর এগোচ্ছেন, গোয়াতে এক কথায় তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
গোয়াতে তৃণমূলের হয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে আইপ্যাক। সেখানেই আছেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তিনি জানালেন, ২০২৪ সালে তিনি ফের একবার ভআরত জয় করতে চান। বলেন, 'আমার মাকে আমি এই কথাটা বলেছিলাম। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান... আমি যখন মোদীর সঙ্গ ত্যাগ করি, তখন মায়ের খারাপ লেগেছিল। আমি তখন তাঁকে বলেছিলাম। আমাকে ১০ বছর দাও, আমি আবার জিতে দেখাব। এটা নিয়ে চিন্তা করো না।'
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার জিততেই জাতীয় স্তরে দলের বিস্তারের দায়িত্ব বর্তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। সেখানে আইপ্যাকও বড় ভূমিকা পালন করছে। প্রশান্ত কিশোর নিজে বাংলার নির্বাচনের পর বলেছিলেন যে ভাট কুশলীর কাজ তিনি আর করবেন না। তবে রাজনীতি থেকে দূরে তিনি থাকতে পারছেন না।
মাঝে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসে সরাসরি যোগ দেবেন প্রশান্ত কিশোর। তারপর রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাত করে কংগ্রেস যোগের জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন পিকে নিজেই। তবে কোনও দলেই তিনি যোগ দেননি। বরং বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় জোটে কংগ্রেসের গুরুত্বের গুণগান গাওয়া পিকের গলায় সম্প্রতি শোনা গিয়েছে কংগ্রেসের প্রতি বিদ্রুপ। ভাব-ভঙ্গিমায় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আপাতত তৃণমূলের সঙ্গেই থাকছেন। এবং মোদীর বিরুদ্ধে 'জয়' পেতে মমতাই এখনও তাঁর এক নম্বর খেলোয়াড়।