ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরবর্তী প্রধানের আনুষ্ঠানিক নিয়োগে বিলম্বের পর শুক্রবার পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল জল্পনা শুরু হয়। এই নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংঘাতে জড়িয়েছেন সেদেশের সেনার সঙ্গে। গত ৬ অক্টোবর লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম অঞ্জুমকে পরবর্তী আইএসআই প্রধান হিসাবে ঘোষণা করে পাক সেনা। তবে আইএসআই-এর বর্তমান প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদের উত্তরসূরির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার কথা ইমরান খানের। সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ঘিরে বিলম্ব জল্পনা উসকে দিয়েছে সেদেশের রাজনৈতিক মহলে।
কনভেনশন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনজন লেফটেন্যান্ট জেনারেলের নাম পাঠায়, যাঁদের একজনকে আইএসআই প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই পদের নিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। এটি সর্বজনবিদিত যে সেনাপ্রধান জানিয়ে দেন যে তিনজনের তালিকা থেকে কোন কর্মকর্তাকে এই পদে নিয়োগ করা উচিত।
৬ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঘোষণা করে জানায় যে রদবদলের অংশ হিসাবে, ফয়েজ হামিদকে পেশোয়ার-ভিত্তিক একাদশ কোরের প্রধান করা হবে। এর জন্য আইএসআই থেকে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমান সেনা প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া ২০২২ সালের নভেম্বরে তাঁর বর্ধিত মেয়াদ শেষ করবেন। তারপর সেই পদে হামিদকে বসতে হলে অপারেশনাল কমান্ডের দায়িত্বে থাকা প্রয়োজন।
তবে হামিদকে আইএসআই প্রধান পদ থেকে সরাতে চাইছেন না ইমরান খান। পাকিস্তানের অনেকেই মনে করছেন, আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে হামিদের বোঝাপড়ার জন্য ইমরান আইএসআই প্রধান পদে বদল আনতে চানা না। এই বিষয়ে সমস্যা মেটাতে সেনা প্রধান বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠকেও বসেন ইমরান। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে অঞ্জুমের নাম আইএসআই প্রধান হিসেবে ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করেননি ইমরান খান। এরপরই জল্পনা আরও বেড়েছে।