২১ বছরের জ্যাসমিন কৌরের মৃত্যু ঘিরে একাধিক নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স রেঞ্জেসে প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে অত্যাচারিতা হন জ্যাসমিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সদ্য মামলার শুনানি হয়। সেখানে জ্যাসমিনের প্রাক্তন প্রেমিক তারিকজ্যোত সিং ছিল অভিযুক্ত। তারিকজ্যোতের বিরুদ্ধে জ্যাসমিনকে বিরক্ত করে পিছু ধাওয়া করা, তারপর খুন করার অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালের মার্চে জ্যাসমিনের মৃত্যু হয়। যে মৃত্যুকে ‘প্রতিশোধ’ মূলক ঘটনা বলে মনে করা হয়। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের যে জায়গায় কর্মরত ছিলেন জ্যাসমিন, সেখান থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে তাঁকে মাটির তলায় পুঁতে রাখার অভিযোগ রয়েছে তারিকজ্যোতের বিরুদ্ধে। জানা যায়, একটি ফাঁকা কবরস্থানে জ্যাসমিনের দেহ ফেলে দেন তারিকজ্য়োত। ঘটনা ঘিরে প্রথমেই অভিযোগের তালিকায় ছিলেন তারিকজ্যোত। প্রথম থেকেই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয়। দাবি করেন জ্যাসমিন আত্মহত্যা করেছেন। পরে যদিও নিজের খুন করার কথা স্বীকার করে নেয় তারিকজ্যোত। উল্লেখ্য, কোর্টকে মৃতা জ্যাসমিনের মা জানিয়েছেন, তারিকজ্যোতকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জ্যাসমিন। তারপরও জ্যাসমিনকে নিয়ে ভীষণ জেদি হয়ে যেতে থাকে তারিক। আর প্রতিশোধের বশেই জ্যাসমিনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানান তারিকজ্যোত।
অভিযোগ, জ্যাসমিনকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারিকজ্যোত। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালিয়ে দূরের কোনও এক জায়গায় জ্যাসমিনকে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্যাসমিনকে গাড়ির পিছনে বেঁধে রাখ হয়েছিল বলেও জানা যায়। এরপর তাঁর দেহ বেঁধে নিয়ে একটি খোলা কবরের মধ্যে জীবিত অবস্থায় পুঁতে দেয় তারিকজ্যোত। এমনই অভিযোগ রয়েছে। জ্যাসমিনের তরফের আইনজীবী বলেন, ‘নিষ্ঠুরতার অস্বাভাবিক স্তর’এ উঠে গিয়েছে এই অপরাধ। সমস্ত দিকের তথ্য শুনে তারিকজ্যোতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।