পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলল দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন যে, ৫ জন মৎস্যজীবী সমেত মোট ৬ ভারতীয় পাকিস্তানের জেলে বন্দি অবস্থায় গত ৯ মাসে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনাকে দিল্লি 'উদ্বেগজনক' বলে বর্ণনা করেছে।
অরিন্দম বাগচি বলেন, '৬ জন ভারতীয় যাঁদের মধ্যে ৫ জন মৎসজীবী পাকিস্তানের জেলে বন্দি অবস্থায় মারা গিয়েছেন সদ্য। এতে তাঁদের সেদেশে সাজার সময় শেষ হয়েছে, তবে তাঁদের অবৈধভাবে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান।' উল্লেখ্য, এর আগে সদ্য পাকিস্তান কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচানোর কথা জানায়। তারা জানিয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সীমান্তের মাঝে জলপথে কয়েকজন ভারতীয় মৎস্যজীবী ডুবে যাচ্ছিলেন, তাঁদের রক্ষা করেন পাকিস্তানের সেনা জাওয়ানরা। এরপরই দিল্লি, পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভারতীয়দের প্রসঙ্গে মুখ খোলে। কার্যত সেদেশে ভারতীয় বন্দিদের নিয়ে কী ঘটছে তা নিয়েই মুখ খুলেছে দিল্লি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জলপথ সুরক্ষা এজেন্সি পূর্বপ্রান্তের জলপথে নজরদারি করছিল। সেই সময়ই তাঁরা দেখতে পান, জলের মধ্যে কয়েকজন মৎস্যজীবী পড়ে গিয়েছেন। মুহূর্তে তাঁদের উদ্ধার করেন পাক সেনা জওয়ানরা। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ওই মৎস্যজীবীদের দেখতে পেয়েই তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। শুরু হয় ত্রাণ কাজ। এরপর যে মৎস্যজীবীরা উদ্ধার হন তাঁদের ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে গুজরাতের ৫০ বছর বয়সী এক মৎস্যজীবীকে জলপথ থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তারপর তাঁকে পাকিস্তানের জেলে বন্দি করে রাখা হয়। এরপরই তাঁর মৃত্যু সংবাদ আসে। কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে জল্পনা। রহস্যের জাটাজাল তা নিয়ে হয়েছে বিস্তৃত। এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে গুজরাতের আরও এক মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তাঁরও মৃত্যু হয় পাক জেলে। শেষে তাঁর দেহাবশেষ ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সদ্য জুন মাসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানের জেলে। এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছে ভারত।