মায়ানমারের কাচিনে সঙ্গীত উৎসব চলাকালীন বিমান হামলা চালাল জুন্তা সরকার। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অনেক মানুষ। এই হামলায় কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে সেনা শাসকের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই মায়ানমারে হিংসা চলছে। জুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সশস্ত্র আন্দোলন চলছে কেআইও’র নেতৃত্বে।
এখনই ছাড়া পাচ্ছে না সু চি, জেলের মেয়াদ বাড়ল তিন বছর
কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে পর পর তিনটি জেট বিমান ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। তিনি বলেন, ‘কেআইএ সদস্য ও নাগরিকসহ প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে।’ এদিন মায়ানমারে এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে রাষ্ট্রসংঘ। প্রাথমিকভাবে সরকারি হিসেবে ৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও সেই সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সামরিক বাহিনীর বিমান হামলাকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছে।
গত বছর সেনাবাহিনীর দখল নেওয়ার পর থেকেই মায়ানমারে বিশাল অংশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাত চলছে সেনাবাহিনী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কেআইএর মধ্যে। কেআইও প্রায় ৬ দশক ধরে কাচিনের মানুষের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বীদের শেষ করে দিতেই বারংবার হামলা চালাচ্ছে জুন্তা সরকার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিদেশ মন্ত্রীরা মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আগামী নভেম্বরে জরুরি আলোচনায় বসবেন। তার আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।