স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর ৮৪ জন সদস্যকে বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান জানাবেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ। তালিকায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের এক কনস্টেবল, একজন স্পেশ্যাল ফোর্স-এর অফিসার এবং ভারতীয় বায়ুসেনার এক পাইলট।
এঁদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হেড কনস্টেবল আবদুল রশিদ কালাসকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিকালীন বীরত্বের পদক মরণোত্তর কীর্তি চক্র সম্মানে ভূষিত করবেন রাষ্ট্রপতি।
এ ছাড়া, ৯ জন নিরাপত্তা কর্মীকে সাহসিকতার জন্য শৌর্য চক্র সম্মানে ভূষিত করা হবে। বীরত্বের বিচারে এই সম্মান দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। প্রাপক তালিকায় রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৃষাণ সিং রাওয়াত, মেজর অনিল উরস হাবিলদার অলোক কুমার দুবে, উইং কম্যান্ডার বিশাক নায়ার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিআইজি অমিত কুমার, সিআইএসএফ সাব-ইন্সপেক্টর মহাবীর প্রসাদ গোদারা (মরণোত্তর), সিআইএসএফ হেড কনস্টেবল এরন্না নায়ক (মরণোত্তর), সিঐইএসএফ কনস্টেবল মহেন্দ্র কুমার পাসওয়ান (মরণোত্তর) এবং সিআইএসএফ কনস্টেবল সতীশ প্রসাদ কুশওয়াহা (মরণোত্তর)।
এঁরা ছাড়া বীরত্বের জন্য পদকে ভূষিত করা হবে পাঁচটি বার সেনা মেডেল (সাহসিকতা), ৬০টি সেনা মেডেল (সাহসিকতা), ৪টি নৌ সেনা মেডেল (সাহসিকতা) এবং ৫টি বায়ু সেনা মেডেল (সাহসিকতা)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাওয়াতকে, ১ প্যারা (স্পেশ্যাল ফোর্সেস) জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বিশেষ অভিযানে সাহসিকতা ও নেতৃত্বের অবদানের জন্য শৌর্য চক্র সম্মানে ভূষিত করা হবে। দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে তাঁর নেতৃত্বে ৪ সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে এমনই আর এক দুঃসাহসিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন মেজর উরস, যাতে ৫ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়।
কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন অভিযানে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী নেতাকে হত্যা করেন হাবিলদার দুবে।