চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ বহুদিনের। সেই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে আলোচনার প্রস্তাব পেশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো বেশ কিছু দেশ। তবে সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভাটদান থেকে বিরত থাকে ভারত। তবে চিনের বিরুদ্ধে ভোট না দিলেও উইঘুরদের মানবাধিকার নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সরব হল ভারত। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে ভারত বলেছে যে জিনজিয়াংয়ের মানুষের মানবাধিকারকে সম্মান করা উচিত।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘ভারত সমস্ত জাতির মানুষের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রসংঘে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের সাথে সঙ্গতি রেখেই ভারতের ভোটদান থেকে বিরত থাকে। ভারতের নীতি, কোনও নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনের পক্ষে ভোট না দেওয়া। ভারত এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য আলোচনার পক্ষে মত পোষণ করে।’
অরিন্দম বাগচি এরপর আরও বলেন, ‘আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার সংক্রান্ত ওএইচসিএইচআর রিপোর্টের বিষয়টি নজরে রেখেছি। জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বসবাসরত উইঘুরদের মানবাধিকারকে সম্মান করা উচিত। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট পক্ষ বস্তুনিষ্ঠ ও যথাযথভাবে পরিস্থিতি সামলাবে।’
চিনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিননিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর ‘অত্যাচার’ নিয়ে সরব পশ্চিমি দেশগুলি। এদিকে চিনের তরফে জিনজিয়াং প্রদেশে ‘ক্যাম্প’ থাকার কথা স্বীকার করা হলেও বেজিংয়ের দাবি, সেগুলি ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের জন্য স্থাপিত। কট্টরপন্থা রুখতে এই ক্যাম্পের প্রয়োজন আছে বলে দাবি চিনের। এই আবহে মানবাধিকার কমিশনে উইঘুরদের নিয়ে প্রস্তাবিত আলোচনার পক্ষে ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিল, ইউক্রেনের মতো দেশও। ৪৭ সদস্যের কমিশনে ১১টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৭ জন সদস্য দেশ। ১৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। এই আবহে চিনের বিরুদ্ধে পেশ করা এই আলোচনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।