নির্বাচনে চাকরির প্রতিশ্রুতিই সার! বাস্তবে দেশে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তো আরও শোচনীয়। অক্টোবরে বেকারত্বের হার নিয়ে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) একটি রিপোর্ট এমনই জানানো হয়েছে।
গত বছর মে'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরে সর্বাধিক হয়েছিল। সেই নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি । কিন্তু এখনও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসে ভারতের বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত শতাংশ (৬.৯৮ শতাংশ)। রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যানে সবথেকে খারাপ অবস্থা হরিয়ানার। সেখানে বেকারত্বের হার ২৭.৩ শতাংশ। তারপর রয়েছে রাজস্থান (২৪.১ শতাংশ) এবং জম্মু ও কাশ্মীর (১৬.১ শতাংশ)।
তবে বাংলার হালও খুব একটা ভালো নয়। জাতীয় গড়ের তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার অনেকটাই বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ছুঁয়েছে ১০ শতাংশ। অগস্টে তা ছিল ১৪.৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার কমে ৯.৩ শতাংশ হলেও উৎসবের মাসে তা আবারও বেড়েছে।
উদ্বেগ বাড়িয়েছে শহরের বেকারত্বের হার। যা লাগাতার বাড়ছে। সিএমআইইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার কয়েক মাসে কিছুটা কম থাকলেও শহরাঞ্চলে ক্রমশ বেড়েছে বেকারত্বের হার। গত মাসে সেই হার সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু এভাবে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির কারণ কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, সেজন্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং লকডাউন অনেকাংশে দায়ী। কারণ লকডাউনে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক সংস্থা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর মে থেকে অগস্টের মাসের মধ্যে প্রায় ছ'কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
এর আগে সিএমআইই জানিয়েছিল, মার্চের মাঝামাঝি সময় দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। এপ্রিলের শুরুতেই সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৩.৪ শতাংশ। একইসঙ্গে লকডাউনের প্রথম দু'সপ্তাহে দেশজুড়ে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হবে। এখন সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল।