রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চকে ব্যবহার করে অনেক সময়ই ভারতকে নিয়ে মিথ্যাচার ছড়িয়ে থাকে পাকিস্তান। বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান বারংবার এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। স্প্রতি জিনিভাতে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাতে সেই একই কাজ করল পাকিস্তান। আর নিজেদের জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানকে পালটা 'ধুয়ে দিল' ভারত। ইসলামাবাদকে তোপ দেগে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, 'ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দমিয়ে রাখে পাকিস্তান। তাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ।' (আরও পড়ুন: 'কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ রাজ্যে...', বড় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসবে পজিটিভ খবর, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি অনুপমা সিং বলেন, 'পাকিস্তান নিজেদের ভাষণে একাধিকবার ভারতের নাম নিয়েছে। এবং এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে আরও একবার মানবাধিকার কাউন্সিলের এই মঞ্চকে ব্যবহার করে পাকিস্তান নিজেদের মিথ্যাচারের প্রচার করল। আবারও ভারতের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করা হল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই মঞ্চের অপব্যবহার করছে পাকিস্তান।' এদিকে পাকিস্তানের তরফ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নিয়ে 'উদ্বেগ' প্রকাশ করা হয়েছিল। যার জবাবে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, 'গোটা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানকার মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য ভারত সরকার সাংবিধানিক উপায়ে পদক্ষেপ করেছে। সেখানে যাতে প্রশাসন আরও ভালো ভাবে কাজ করে তার জন্যেই এই পদক্ষেপ। এই বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না। এটা পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।'
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া কমাল রেল, ভোটের আগে বড় উপহার যাত্রীদের
এরপর পাকিস্তানকে তোপ দেগে অনুপমা বলেন, 'পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা নিজের সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত ভাবে নিপীড়ন করে আসছে। তারা এই অত্যাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই তাদের মানবাধিকার সংক্রান্ত রেকর্ড খুবই বাজে। এহেন দেশের ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করা মানায় না। আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের ক্ষেত্রে স্পষ্টতই দুর্দান্ত অগ্রগতি করছি। এই আবহে পারিস্তানের এহেন অভিযোগ নিছকই বিকৃত কিছু দাবি।'
এরপরই ২০২৩ সালের অগস্টে জারওয়ানওয়ালায় ঘটে যাওয়া ঘটনার উল্লেখ করেন ভারতীয় প্রতিনিধি। উল্লেখ্য, সেই সময় পাকিস্তানের এই এলাকায় ১৯টি গির্জা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। খ্রিস্টানদের ৮৯টি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে ভারত অভিযোগ করে, 'পাকিস্তান নিজের দেশের নাগরিকদের রক্ষ করতেই ব্যর্থ।' এরই সঙ্গে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসকে আশ্রয় দেয়, সেই বিষয়টিও তুলে ধরে ভারত। অনুপমা বলেন, 'আমরা এমন দেশের কথায় গুরুত্ব দিতে পারি না, যারা গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে নিজেদের হাত রক্তে রাঙিয়েছে। তারা জাতীয় ব্যালেন্সশিটে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে তবে নাগরিকদের পরিষেবা প্রদানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।'