রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সংখ্যালঘুর অধিকার ইস্যুতে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধনা করে ছাড়ল ভারত! ইউএনইএস- এর মঞ্চে ভারতের যুগ্মসচিব শ্রীনিবাস গোত্রু, বুধবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বক্তব্য প্রসঙ্গে কার্যত ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেন কটাক্ষের সুরে।
সংখ্যালঘুর অধিকার ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন শ্রীনিবাস গোত্রু। সেখানে তিনি পাকিস্তানকে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ইসলামাবাদ সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে কথা বলছে, এটা খুবই হাস্যকর’।একধাপ এগিয়ে এরপর তিনি বলেন, ‘এমন একটা দেশ (পাকিস্তান) যারা লজ্জার ভয়ে সেদেশের তথ্য (সংখ্য়ালঘু ইস্যুতে) প্রকাশ করে না, এটা অবাক করছে যে তাঁরা এই বিষয়টিকে তুলে ধরছেন। সংখ্যালঘু অধিকার ইস্যুতে বিধি ভঙ্গের একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এঁদের যা, বিশ্ব আগে কখনও দেখেনি।’
এদিন গোত্রুর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে পাকিস্তানের বুকে সংখ্যালঘুদের ওপর নানান অত্যাচারের কথা। যে সংখ্যালঘু তালিকায় রয়েছেন শিখ, আহমদি, খ্রিস্টান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। তাঁদের অধিকার ভঙ্গ নিয়ে সরব হয়েছেন এই নামী ভারতীয় কূটনীতিবিদ।
গোত্রু তুলে ধরেন, যে কীভাবে হাজার হাজার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েরা অুপহৃত হচ্ছেন, তাঁদের জোর করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানে। আর সেই সমস্ত ঘটনার খতিয়ানও পেশ করেন গোত্রু। খুব স্পষ্ট ভাষায় গোত্রু বলেন, ‘ জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পূর্ণ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি আমাদের। আর তা চিরকালই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। কোনও পাকিস্তানের প্রতিনিধি কী বিশ্বাস করেন তার ওপর তা নির্ভর করে না।
আমরা পাকিস্তানকে বলছি, যাতে তারা সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করে, যাতে আমাদের নাগরিকদের বাঁচার অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকে।’ এর আগে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি অভিযোগ তোলেন যে ভারত একটি হিন্দুত্ববাদী দেশ হয়ে উঠছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি কাশ্মীর ইস্যুর কথা তোলেন। তবে, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির তথ্য বলছে, পাকিস্তান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য যে বাঁচার অধিকার রয়েছে তা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে।