নতুন স্থল সীমান্ত আইন নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন না। বুধবার একথা চিনকে জানিয়ে দিল ভারত। এই আইন প্রয়োগ হলে একতরফাভাবে সীমান্তে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসলে এই আইনে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সতর্ক রয়েছে ভারত। চিনের পার্লামেন্ট ন্যাশানাল পিপসস কংগ্রেস এই নতুন আইন পাশ করেছে। সেদেশের সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার কথা বলে এই নতুন আইনের অবতারনা করা হয়েছে। গত ২৩শে অক্টোবর পাশ করা হয়েছে এই নয়া আইন। এই আইনের মাধ্যমে পিপলস লিবারেশন আর্মি ও স্টেট এজেন্সিগুলিকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গেই সীমান্ত এলাকায় সাধারণ সিভিলিয়ানদের সহযোগিতায় পরিকাঠামো বৃদ্ধি, শহর তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সিভিলিয়ানদের প্রতিরক্ষার প্রথম লাইন বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
এদিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, চিনের এই একতরফা সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের আশা চিন এই নতুন আইন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। এতে একতরফাভাবে ভারত- চিন সীমান্তে পরিস্থিতি বিগড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণে রেখায় চিনের আগ্রাসন, স্থিতাবস্থা বদলের উদ্যোগের জন্য চিনকেই দায়ী করেছে ভারত। প্রসঙ্গত ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে। তবে বর্তমানে প্যাংগং লেকের আশপাশ থেকে দুপক্ষই সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখার অজুহাতে চিন কৌশলে পিএলএর গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। তিব্বত লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৬০০ শহর তৈরি করেছে চিন।