বরফের আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে। পর্যটকরা শীতের ছুটিতে সেখানে বেড়াতে গিয়েছেন। একঘেয়েমি মনকে গতি দিতেই এখানে এসেছেন পর্যটকরা। তাই তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন সিকিমের ছাঙ্গু লেক। কিন্তু গতিপথ যে রুদ্ধ। প্রবল তুষারপাতের জেরে সিকিমের ছাঙ্গু লেক যে অন্য চেহারা নিয়েছে। ফলে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। এক হাজারেরও বেশি পর্যটককে সেখান থেকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে আর যেসব পর্যটক ছাঙ্গু লেক যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তাঁদের মাঝ পথেই আটকে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ওখানে গিয়ে বিপদে না পড়েন। আর যাঁরা আটকে পড়েছিলেন তাঁদের নিরাপদে গ্যাংটকে নেমে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সিকিম প্রশাসন, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে ওই এলাকায় ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে।
বরফে ঢাকা ছাঙ্গু লেক দেখতে মনোরম লাগলেও সেখানে যাওয়ার পথ বেশ দুর্গম। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের সাহায্য করা হয়েছে। গরম জামাকাপড় ও খাবার দেওয়া হয়েছে। এখানের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল শূন্যের নীচে। তাই বরফ জমে গিয়ে রাস্তা আটকে যায়। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন ১৭ মাইল শিবির থেকে গ্যাংটক ফেরানোর সময়ও প্রবল তুষারপাত হয়। তুয়ারপাতের মুখে পড়েন পর্যটকেরা। যাঁদের গাড়ি ছিল, তাঁরা গাড়ি নিয়ে নেমে আসেন। প্রায় ২০০ পর্যটক গাড়ি জোগাড় করতে পারেননি। তখন বিপদসঙ্কুল পথে এগিয়ে যায় সেনাবাহিনী। এখন এই পরিস্থিতি কাটিয়ে অনেক পর্যটকই ক্লান্ত। সবাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনেবাহিনীকে। তাঁরা না উদ্ধার করলে বরফেই মৃত্যু ছিল অনিবার্য।