শুরুটা করেছিলেন নীতীশ কুমার। পালটা চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর। দলের সুপ্রিমোকে একহাত নিয়ে জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি বললেন, কতটা নিচে নেমেছেন যে আণি কীভাবে ও কেন জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছিলাম, তা নিয়ে মিথ্যা বলতে হল।
সিএএ ও এনআরসি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিজেপির সমালোচনা করছেন জেডিইউ নেতা প্রশান্ত। প্রায়শই নিজের দলেরও নীতির বিরোধিতা করেন তিনি। এতদিন চুপচাপ সহ্য করে নিলেও এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশান্ত কিশোরের টুইট সম্বন্ধে তিনি বলেন, ' কেউ যদি টুইট করতে চায়, করুক। তার সঙ্গে আমার কি এসে যায়। কেউ চাইলে জেডিইউতে থাকতে পারে, বা ইচ্ছে হলে চলে যেতে পারে।' তবে এতেই ইতি টানেননি নীতীশ কুমার। প্রশান্ত কিশোরকে বিড়াম্বনায় ফেলার জন্য তিনি বলেন, ' আপনারা জানেন কীভাবে জেডিইউ দলে এল প্রশান্ত কিশোর? অমিত শাহ ওকে দলে নিতে বলেছিল '।
নরেন্দ্র মোদীর হয়ে প্রাথমিক ভাবে ২০১৪ নির্বাচনের সময় রণনীতি ঠিক করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এরপর তাঁর সংগঠন আইপ্যাক বিভিন্ন দলকে সাহায্য করেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছে তারা। প্রশান্ত নিজে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংযুক্ত জনতা দলে যোগ দেন। প্রথমেই তাঁকে দলের সহ-সভাপতি নিযুক্ত করেন নীতীশ। কিন্তু বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি।
বারবার যেভাবে প্রশান্ত কিশোর সমালোচনা করছেন জেডিইউ-র, তাতে নীতীশের ধারণা যে সে দল ছাড়তে চায়। নীতীশ কুমারের কথায়, প্রশান্ত নিশ্চয়ই অন্যত্র যেতে চায়। তাই এইসব বলছে।
নীতীশ কুমারের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর চুপ করে থাকেননি প্রশান্ত। সন্ধ্যায় তিনি টুইট করেন, 'কতটা নিচে নেমেছেন যে আমি কীভাবে ও কেন জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছিলাম, তা নিয়ে মিথ্যা বলতে হল। এই চেষ্টা করাটা ও আপনার মতো আমার রং দেখানোর প্রয়াস খুব বাজে হল। আর আপনি যদি সত্যি কথা বলেন, তাহলে আপনাকে কে বিশ্বাস করবে যে অমিত শাহের সুপারিশ করা যে কোনও লোকের কথা শুনবেন না?'