কিছুদিন আগেই ক্যাপিটাল ফুডস ও স্মিথ অ্যান্ড জোনসকে অধিগ্রহণ করে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস। ক্যাপিটাল ফুডসের আওতায় রয়েছে চিংস সিক্রেট। আর এবার খবর চিংস সিক্রেটের কয়েক হাজার ডিস্ট্রবিউটারকে ছাঁটাই করেছে টাটা কনজিউমার ফুড, বলছে রিপোর্ট।
‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটার্স ফেডারেশন’ এর তরফে অভিযোগের সুরে একটি চিঠি লেখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য দয়ানন্দ মুলায়কে। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, টাটারা হঠাৎ করে ক্যাপিটাল ফুডসের ৩ হাজার ডিস্ট্রিবিউটারকে ছাঁটাই করেছে। এরফলে প্রায় ৭০ হাজার জন কর্মহীন হতে চলেছেন। আশঙ্কা রয়েছে, এই ডিস্ট্রিবিউটারদের আওতায় থাকা ৭০ হাজার জনকে নিয়ে। এঁরা বিভিন্ন পদে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে কেউ ডেলিভারি পার্সোনাল তো কেউ রয়েছে সেলসে। আর এঁরা সকলেই বছরের শুরুতেই কাজ হারাচ্ছেন। এই ৭০ হাজার জন মানুষের আর্থিক সংকট ছাড়াও তাঁদের বাজারে থাকা ঋণ ঘিরেও নানান জটিলতা দেখা দেবে। ফলে এঁদের জীবনধারণে সমস্যা হবে। এমনই দাবি করেছে এনডিটিভির রিপোর্ট। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনে টাটারা।
এর আগে টাটারা, ধাপে ধাপে ক্যাপিটাল ফুডস ও স্মিথ অ্যান্ড জোনসকে অধিগ্রহণ করে। এর হাত ধরে খাদ্য সংক্রান্ত বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে টাটারা বড় পদক্ষেপ করে। এই সংক্রান্ত বাজারে জমি পোক্ত করতে টাটাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি।
তবে AICPDF এর প্রেসিডেন্ট ধার্যশীল পাটিল বলছেন, টিসিপিএল (টাটাগোষ্ঠী) এমন ধরনের পদক্ষেপ আগে নেয়নি। ফলে এই অধিগ্রহণের পরই এত বিপুল সংখ্যক ছাঁটাই নিয়ে স্বভাবতই উঠছে প্রশ্ন। তিনি বলছেন, ২০১৮ সালে যখন হিন্দুস্তান লিভার, হরলিক্স অধিগ্রহণ করে জিএসকের থেকে, তখন প্রায় তাদের পুরনো ডিস্ট্রিবিউটারদের সকলকেই তারা সঙ্গে নিয়ে পথ চলেছে। একই জিনিস বহু সংস্থাই করেছে। ফলত, টাটারা তাদের ডিস্ট্রিবিউটারদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রটি মজবুত করুক।