সঙ্গীতা কুমারী। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। দু দুবার ফুটবল খেলায় দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। কার্যত আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই ফুটবল খেলোয়াড় এখন পেট চালাতে কাজ করছেন ধানবাদের ইট ভাটায়। এই ঘটনা কানে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনেরও। ২০ বছর বয়সী ওই ফুটবল খেলোয়াড়ের এই ভয়াবহ আর্থিক সংকটকে ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ক্রীড়ামহলে। তিনি বলেন, ‘গত বছর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ ছিল। আরও কড়া লকডাউন ছিল। দৈনিক হাজিরার কাজও কেউ করতে পারেননি। কিন্তু কিছু করারও নেই। আমাদের টাকার খুব দরকার। প্রতিটি ইট তোলার জন্য টাকা পাই। দিনে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।’
এদিকে ঘটনার কথা জেনে জাতীয় মহিলা কমিশন ঝাড়খণ্ডের মুখ্য় সচিবকে চিঠি পাঠায়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও চিঠি লিখেছে মহিলা কমিশন। এব্যাপারে হস্তক্ষেপ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ‘সঙ্গীতার এই অবস্থা দেশের কাছে লজ্জার ও অস্বস্তির। শুধু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশকেই তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন তা নয়, ঝাড়খণ্ডেরও প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও ধারাবাহিতকায় তিনি এই জায়গায় এসেছিলেন।’
এদিকে চিঠি পেয়েই নড়েচড়়ে বসে ঝাড়খণ্ড সরকার। তাঁকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্যও কথাবার্তা চলছে। তবে আধিকারিকদের দাবি গতবছরও অতিমারি পরিস্থিতিতে সাতজন ক্রীড়াবিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল সরকার। তবে সঙ্গীতার দাবি গতবছর তিনি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা জোটেনি। তবে সঙ্গীতা বেশি কিছু চান না। তিনি বলেন,' গত বছর সরকার রেশন দিয়েছিল। পাশাপাশি লোকজনও সহযোগিতা করেন।' তবে এতসব কিছুর পরেও প্র্যাকটিশ ছাড়তে রাজি নন তিনি। সকালে মর্নিং কারফিউ না থাকার সুযোগে তিনি সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনুশীলন করেন। এরপর ইটভাটায় কাজ করতে যান।