কাউকে কাউকে খেটে খেটে মরতে হয়। আর কেউ আসি যাই মাইনে পাই। ডাবলিনে এক আইরিশ রেলকর্মচারী আলাস্টেয়ার মিলস নামে এক ফিনান্স ম্যানেজার জানিয়েছেন, বস আমাকে কোনও কাজই করতে দেন না। একেবারে কোণঠাসা করে রেখে দিয়েছে। তাঁর দাবি, কোম্পানির হিসাব বহির্ভূত ব্য়াপারগুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জেরে এভাবে কাজ না করিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে।
এদিকে মিলস সব মিলিয়ে বছরে ১.০৩ কোটি টাকা আয় করেন। আর তাঁর কাজ বলতে খবরকাগজ পড়া, একটু চলাফেরা করা আর স্য়ান্ড উইচ খাওয়া। ডেইলি মেলে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মিলস দাবি করেছেন, ২০১০ সালে তাঁর প্রমোশন হয়েছিল। ২০১৩ সালে তিনি তিন মাসের সিক লিভ নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ফিরে এসে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হন কোম্পনির সঙ্গে। বলা হয়েছিল তাঁর পদমর্যাদা, সিনিয়রিটি, স্যালারি সব সমান থাকবে। তারপর থেকে তিনি বসে বসেই মাইনে পান।
মিলস দুদিন অফিসে আসেন আর তিনদিন বাড়ি থেকে কাজ করেন। তিনি সকাল ১০টা নাগাদ অফিস যান।দুটো খবরের কাগজ আর একটা স্যান্ডউইচ কিনে অফিসে ঢোকেন। এরপর তাঁর জায়গায় গিয়ে বসেন। কম্পিউটারটা খোলেন। এরপর মেলগুলো দেখেন। কাজের কোনও মেল সেখানে থাকে না। এরপর খবরকাগজ খুলে বসেন। স্য়ান্ডউইচটা খান। ভাগ্যবশত কোনও কাজের মেল এলে সেটার উত্তর দেন। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে, পায়চারি দিয়ে আড়াইটে নাগাদ বাড়ির দিকে হাঁটা দেন।
এদিকে তিতিবিরক্ত হয়ে তিনি আইনের দ্বারস্থও হয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের এক বাসিন্দা এভাবেই কর্মক্ষেত্রে বোরিং হয়ে যাচ্ছিলেন। পরে অবশ্য় তিনি আইনিযুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। প্য়ারিসের কোর্ট তাঁর নিয়োগকারীর বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল।