গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে আক্রমণ করেছিল হামাস জঙ্গিরা। সেই সঙ্গে বহু মানুষকে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ইজরায়েলের ২ বয়স্কা নাগরিককে সোমবার মুক্তি দিয়েছে হামাস জঙ্গিরা। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ইয়োচেভেদ লিফশিটজ (৮৫) এবং অন্যজন হলেন নুরিত কুপার (৭৯)। হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা কথা শোনালেন ইয়োচেভেদ। কীভাবে তাঁকে অপহরণের পর মারধর করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একইসঙ্গে কীভাবে তাঁকে সেখানে রাখা হয়েছিল? সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি বর্ণনা করলেন।
আরও পড়ুন: 'মরার মতো পড়েছিলাম...' মিউজিক ফেস্টিভালে গিয়ে হামাসের আক্রমণ থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বললেন ব্যক্তি
ইয়োচেভেদ জানান, একটি মোটরবাইকে করে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ক্রমাগত লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। একটি সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। তাঁর কথায়, ‘মনে হচ্ছিল আমাকে নরকের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমি কখনই ভাবিনি এবং কখনই জানতাম না যে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব।’ তবে একই সঙ্গে হামাসের হেফাজতে তিনি কেমন ছিলেন সে কথাও বর্ণনা করেন। তিনি জানান, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর হামাস জঙ্গিরা তাঁদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে। বন্দিদের চিকিৎসা এবং সেবা যত্ন করেছে। উল্লেখ্য, হামাসের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, মানবিকতার খাতিরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে আমেরিকার ২ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাঁরাও জানিয়েছিলেন, হামাস তাঁদের প্রতি যত্নবান ছিল।
ওই বৃদ্ধা জানান, তাঁকে ২৫ জন বন্দির সঙ্গে রাখা হয়েছিল। তিনি বর্ণনা করেছেন, প্রত্যেককে ভালোভাবে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেছেন। বৃদ্ধার কথায়, ‘হামাস জঙ্গিরা আমাদের প্রতি খুব উদার ছিল। তারা আমাদের পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রেখেছিল। তারা প্রত্যেকটি বিষয়ে যত্ন নিয়েছে। সেখানে অনেক মহিলা আছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন এবং তারা সেখানে সমস্ত কিছুর যত্ন নিয়েছেন।’ যদিও অন্যান্য বন্দিদের একইভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে না কি অত্যাচার চালানো হচ্ছে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইনের সীমান্তে মোতায়ন রয়েছে প্রচুর সংখ্যায় ইজরায়েলের সেনা। তারা যেকোনও সময় গাজায় প্রবেশ করতে পারে। এই অবস্থায় পণবন্দিদের হাতিয়ার করছে হামাস। এছাড়াও, হামাসের তরফে জানানো হয়েছে তারাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।