লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শক্তিবৃদ্ধি হল বিজেপি শাসিত এনডিএ জোটের। কারণ এবার বাড়ল শরিক দল। এনডিএ জোটে যোগ দিল জনতা দল (সেকুলার)। আজ, শুক্রবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন জেডিএস প্রধান এইচডি কুমারস্বামী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার দল জেডিএস–কে পাশে পেয়ে খুশি বিজেপি। তাঁর ছেলে কুমারস্বামী এদিন বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে।
এদিকে আজ দুপুরেই নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে যান কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, গোয়ার মুখ্য়মন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। ওই বৈঠক থেকেই জানানো হয় যে, বিজেপি শাসিত ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্সে যোগ দিচ্ছে জেডিএস। সূত্রের খবর, আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা। আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। তবে ইন্ডিয়া জোটে না গিয়ে এনডিএ জোটে যাওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কর্নাটকের ২৮টি আসন বিজেপির সমর্থনে জিততে পারবে কিনা জেডি(এস) সেটা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
অন্যদিকে জেপি নড্ডা ও অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করার পর আজ শুক্রবারই টুইট করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। হয়তো এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নড্ডা। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘এনডিএতে জেডিএসের যোগদানের সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমরা জেডি(এস)–কে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি এনডিএ–তে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন নতুন ভারত, শক্তিশালী ভারত গড়ে উঠবে।’ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকে আসন রফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বলে জানা যাচ্ছে। কুমারস্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন জেপি নড্ডা। গোয়ার মুখ্য়মন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, ‘এনডিএ–কে আরও শক্তিশালী করতে জেডিএস আজ জোটে যোগ দিল। আমি তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। সংসদীয় বোর্ড ও জেডিএস আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করবে।’
আরও পড়ুন: কয়েক সেকেন্ডে নিমেষে লন্ডভন্ড হল গোটা এলাকা, হাবড়া দিয়ে কী বয়ে গেল?
তবে আগেই কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিজেপি জেডিএসের মধ্যে আসন সমঝোতা হতে পারে। সেখানে আজ দেখা গেল জেডিএস সরাসরি এনডিএ জোটে যুক্ত হল। এনডিএ জোটে যোগ দিয়ে কুমারস্বামী বলেন, ‘আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালাম। আমরা প্রাথমিকভাবে যোগ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের কোনও দাবি নেই। আমাদের পাখির চোখ ২৮টি আসন জিততে হবে। আর কেন্দ্রের সাহায্যে মানুষকে ভাল পরিষেবা দিতে হবে।’ তবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান কুমারস্বামী।