সরকারি বিভিন্ন পলিসিকে কেন্দ্র করে বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে অনেক সময়ই নানা বিতর্ক দানা বাঁধে। কিন্তু বৃহস্পতিবার একটি শুনানি চলাকালীন সেই পরিস্থিতি বিগড়ে গেল অনেকটাই। সেন্ট্রাল অর্ডিনান্সের মেয়াদকালকে ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রসঙ্গত অর্ডিনান্স এনে সম্প্রতি ট্রাইবুনাল চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের মেয়াদ চার বছর করা হয়েছে। এনিয়েই দুপক্ষের মধ্যে তর্কের সূচণা। এখানেই শেষ নয়। ট্রাইবুনালের সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন আইনজীবীর রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিল আদালত। তা নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয় বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল কার্যত বোঝাতে চেয়েছেন, যখন আদালত কোনও যোগ্যতা ও মেয়াদকাল নিয়ে কিছু জানান সেটা কোনও চলতি আইনের বিষয় নয়, এটি একটি বিচারবিভাগীয় নির্দেশ। অন্যদিকে আদালত বলা সত্ত্বেও কেন বার বার একই বিষয়কে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জাস্টিস রাও বলেন, 'যদি একটি আইন সুপ্রিম কোর্ট আটকে দেয়, তবে অন্য অ্যাক্ট পাশ করার ক্ষেত্রেও একই বিষয় হয় তবে এটি চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছবে এটি?' তবে আদালতের কাছে দায়ের করা নোটে অ্য়াটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, এক্সিকিউটিভ পলিসি তৈরির ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার বিঘ্নিত না হলে বা সাংবিধানিক অধিকার খর্ব না হলে আদালতের হস্তক্ষেপ করা বাঞ্চনীয় নয়।