দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হল আগামী ১৭ জুলাই। দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন বা ডিএইচসিবিএর তরফে একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক কলেজিয়াম প্রস্তাবে বিচারপতির বদলি ঘিরে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের প্রস্তাবে বিচারপতি গৌরঙ্গ কান্থকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। আর এই বদলির সুপারিশ ঘিরে কলেজিয়াম-প্রস্তাবের বিরোধিতায় বার অ্যাসোসিয়েশন।
ডিএইচসিবিএ (দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন) দ্বারা গৃহীত রেজোলিউশনে বলা হয়েছে, যে বদলিটি হাইকোর্টের ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে। কারণে হাইকোর্টে এই মুহূর্তে যে সংখ্যক বিচারপতি রয়েছেন বা যে কর্মশক্তি রয়েছে তাতে ভাটা পড়তে পারে এই বদলির ফলে। রেজোলিউশন বলছে, 'দুঃখের বিষয় যে দিল্লি হাইকোর্টে বিদ্যমান শূন্যপদগুলি পূরণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বারা কোনও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবুও বর্তমান বিচারপতির বদলি করা হচ্ছে, যার ফলে দিল্লি হাইকোর্টের বর্তমান যে কর্মক্ষমতা রয়েছে, তা আরও হ্রাস করা হচ্ছে।'এখানেই শেষ নয়। এরই সঙ্গে কলেজিয়ামের তরফে যাতে অই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়, তার জন্যও আর্জি জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়াও এই বদলির সুপারিশ ঘিরে যাতে কেন্দ্রীয় সরকারও পদক্ষেপ করে, তারও আর্জি জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে কলেজিয়ামের প্রস্তাবে যাতে দিল্লির শিলমোহর না পড়ে, তার আর্জি জানিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
( Oil for Beard: দাড়ি হবে স্টাইলিশ, ঘন কালো! এই তেলটির কথা জানেন তো? রইল টিপস)
দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, 'এই বদলি বিরলতম ঘটনা।' এই বদলির প্রস্তাবের বিরোধিতায় দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশনের সব পক্ষ। সোমবার ১৭ জুলাই দিল্লির বার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের সুপারিশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি দেশের কাছে বার্তা যে কলেজিয়াম ভীষণভাবে সক্রিয়। আর নিজের ছন্দে তারা কাজ করে যেতে বদ্ধ পরিকর।