আমজনতার কাছে এক কোটি টাকাই স্বপ্নের মতো। দুর্দান্ত চাকরি বা ব্যবসা করলেও এই টাকা জমাতে-জমাতে জীবন পার হয়ে যায়। তবে সফল শিল্পপতিদের ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। এক-দুই কোটি নয়। একেবারে একশো কোটি টাকারও বেশি খরচ করে বাড়ি কেনেন তাঁরা। আরও পড়ুন: শীঘ্রই এই বিলাসবহুল বাড়িতে শিফট করবেন কাজল-অজয়, কেমন দেখতে বাড়ির অন্দরমহল
এমনই ধনকুবের শিল্পপতি হিসাবে শিরোনামে কান্দোই ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের দুই পরিচালক। মুম্বইয়ের মালাবার হিলে বিলাসবহুল লোধা মালাবার প্রকল্পে ১১২.৫২ কোটি টাকায় দুইটি সমুদ্রমুখী ফ্ল্যাট কিনেছেন তাঁরা।
লোধা মালাবার প্রোজেক্টের এই ফ্ল্যাটগুলি বর্তমানে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প। এর যা দাম, তা কেবলমাত্র বড় শিল্পপতি, চিত্র তারকা বা বড় ক্রীড়াবিদদের পক্ষেই কেনা সম্ভব।
এই প্রকল্পের ১১০১ নম্বর ফ্ল্যাট কান্দোই ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রেজিস্টার করা হয়েছে। রাজেশ বিজয়কুমার আগরওয়াল সেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। অন্যদিকে ১২০১ নম্বর ফ্ল্যাট রাহুলকুমার নিরঞ্জনকুমার আগরওয়ালের নামে বুক করা হয়েছে। দু'জনেই কান্দোই ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর।
১ জুন, ২০২৩-এ এই ফ্ল্যাট রেজিস্টার্ড হয়েছিল। ক্রেতারা প্রত্যেকে ৩.৫৭ কোটি টাকা করে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করেছিলেন। IndexTap.com-এর প্রকাশিত রেজিস্ট্রেশনের নথি অনুসারে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের সঙ্গেই চারটি করে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে রাজেশ আগরওয়াল এবং প্রদীপ লক্ষ্মীনারায়ণ আগরওয়াল A উইং-এর সাত, আট, নয় ও দশ তলায় ৪,৬৪৩ বর্গফুট করে চারটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। মোট ২১৭ কোটি টাকায় এই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছিল। ১৮,৫৭২ বর্গফুট নেট কার্পেট এরিয়ার জন্য ১৩.০২ কোটি টাকা স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। মোট ১৬টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।
এর আগে ১০ মার্চ এই একই প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বাজাজ অটোর চেয়ারপারসন নীরজ বাজাজ। ১০ মার্চ ২৫২.৫০ কোটি টাকায় ১৮,০০৮ বর্গফুট জুড়ে ৩০, ৩১ ও ৩১ তলায় ট্রিপলেক্স পেন্টহাউস কিনেছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: Noida moral policing: লুঙ্গি আর নাইটি পরে আবাসন চত্বরে হাঁটবেন না, ফ্ল্যাটে নয়া নোটিশ, বিতর্ক তুঙ্গে