বিগত প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল কর্নাটক। দেশের রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যুটি ঝড় তুলেছে। আদালতে এই বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন। তবে এতদিন এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খোললেন কেন্দ্রীয় সরকারের হেভিওয়েট কোনও মন্ত্রী। তবে সোমবার এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করে শাহ বলেন, ‘আমি মনে করি স্কুলে একটি নির্দিষ্ট ডরেস কোন মানা ইচিত সব ধর্মের পড়ুয়াদেরই।’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অমিত শাহ এদিন আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দেসকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে নাকি ব্যক্তিগত ইচ্ছার ভিত্তিতে।’
অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যে সব ধর্মের লোকেদের স্কুলের ড্রেস কোড মেনে নেওয়া উচিত। এবং বিষয়টি এখন আদালতে রয়েছে এবং আদালতে এই বিষয়টির উপর শুনানি হচ্ছে। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেয় তা সকলের অনুসরণ করা উচিত।’
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ঘটনায় রাস্তায় নেমেছিলেন আলিগড় পড়ুয়ারা। হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আলিগড়ের পড়ুয়ারা কর্নাটকের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে স্লোগান তুলেছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে সেরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তারইমধ্যে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এই আবহে কর্নাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হিজাব ও গেরুয়া শাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।