কর্ণাটকে এবার নয়া সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে একটি মিটিং। আর সেই মিটিং হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জগদীশ সেত্তারের সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক রমেশ জারকিহোলির। সেই মিটিংকে ঘিরে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। এই মিটিংয়ের কথা সামনে আসতেই নয়া জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন বিজেপি আসলে সরকার ফেলতে চাইছে। সেকারণে নানাভাবে বিরোধীদলকে সঙ্গে নিয়ে নানা পরিকল্পনা করছে। তবে সেটা সম্ভব হবে না।
উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বুধবার জানিয়েছেন, তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এই ছকটা ধরে ফেলেছিলেন। শিবকুমারের মতে, বিজেপির একটা টিম এই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আমি নিশ্চিত সমস্ত বিধায়করা এসে আমাকে সব কথা খুলে বলবেন। কোথায় দেখা করেছেন সেকথা তারা জানাবেন।
শিবকুমার জানিয়েছেন, সব খবরই আমার কাছে আছে। এনিয়ে আমি চাই বিধায়করা একেবারে বিধানসভায় সব খুলে বলুন।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি আর জেডিএস এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে এবার ওদের অপারেশন করতে হবে ডাক্তার দিয়ে। আর ওই মিটিং নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর মতে, এসব নিয়ে জল্পনা করার মতো কিছু নেই।
তিনি জানিয়েছেন, সেত্তার এর আগেই তাঁর ক্ষমতা দেখিয়েছেন। এনিয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী এমবি পাতিল জানিয়েছেন, বিজেপির ৬৫জন বিধায়ক দরকার সরকার ফেলার জন্য। ততটা কি ওরা পাবেন? এনিয়ে সন্দেহ আছে। আর বিজেপি শুধু ডুবন্ত জাহাজ নয়, বিজেপি হল ডুবে যাওয়া একটা জাহাজ।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, দেখুন আমাদের যেটা মনে হচ্ছে দুজনের মধ্য়ে মিটিং হয়েছে কারণ একজন আবার কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। তবে ওটা ব্যক্তিগত মিটিং নাকি রাজনৈতিক মিটিং ছিল সেটা বলতে পারব না।
তবে এই মিটিংকে ঘিরে জল্পনা কিন্তু তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছেন কর্ণাটক দখল করতে এবার নয়া পন্থা নিয়েছে বিজেপি শিবির। আর সেই নিরিখে এবার এই মিটিং।