ইউটিউব দেখে বাড়িতে রান্না করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এমনকি কোনও ছোটখাটো বিষয় জানার থাকলেও অনেকেই ভরসা করেন ইউটিউবকে। সহজে কোনও প্রক্রিয়া বুধে নিতে ইউটিউবের ভিডিয়ো বহু সময়ই কাজে এসেছে অনেকের। তবে কেরলের ১২ বছরের কিশোরের কীর্তিতে পরিস্থিতি খানিকটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ইউটিউব দেখে আঙুরের মদ বাড়িতে বানিয়ে তা বন্ধুদের খাওয়ায় কিশোর। এরপরই শুরু যাবতীয় অঘটন।
বাড়ির তৈরি ওই আঙুরের মদ পান করে ওই কিশোরের বন্ধুরা মুহূর্তে বমি করতে থাকে। শরীরে শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। এরপরই তাদের কেরলের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কেরলের চিরিয়াইনকিজু হাসপাতালে ভরতি করা হয় অসুস্থদের। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা কোনও বাড়ির ভিতর ঘটেনি। ঘটেছে স্কুলে। শুক্রবার এক সরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বলছে, জেরার মুখে পড়ে ওই কিশোর জানিয়েছে, সে বাড়িতে আনা আঙুর দিয়ে মদ বানিয়ে নেন। আর তা করে ইউটিউব দেখে। এই মদে কোনও অ্যালকোহল বা স্পিরিট সে দেয়নি। আঙুর থেকে মদ বানিয়ে তা মাটির নিচে বোতলবন্দি করে সে কিছুদিন চাপা দিয়ে দেয়। তারপর সেই বোতল বের করে সে স্কুলে আসে। আর সেখান থেকেই বন্ধুদের দেয় ওই মদ। ঘুম কম হওয়া, কম জল পানের অভ্যাস কি বন্ধ্যত্বের কারণ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই মদের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে। যে বোতলবন্দি মদ ওই স্কুলে এনেছিল কিশোর, সেই বোতলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মদের নমুনা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সক ল্যাবে। স্থানীয় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এই পদক্ষপ করা হয়। পুলিশ বলছে, আপাতত দেখা গিয়েছে ওই বোতলবন্দি মদে কোনও স্পিরিট বা অ্যালকোহল ছিল না, তবে কী থেকে এই ঘটনা ঘটেছে তা খুব শিগগির তদন্তে বেরিয়ে আসবে।