বিগত বহু বছর ধরেই কেরলের বাম সরকারের সঙ্গে সেখানকার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বনিবনা হয় না। বিভিন্ন ভাবে রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করে থাকেন রাজ্যপাল। আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে বামেরা। এরই মাঝে সোমবার রাতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে শারীরিক ভাবে আঘাত হানার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। উল্লেখ্য, গতকাল আরিফের গাড়ির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর বিরুদ্ধে। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপল অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী জেনে বুঝেই তাঁর ওপর হামলা করাচ্ছেন। (আরও পড়ুন: 'স্থিতিশীল আর্থনীতির জন্য…', সরকার চালাতে মন ভাঙবে কর্মীদের! 'সতর্কবার্তা' RBI-র)
আরও পড়ুন: রেশন কার্ড থাকলেই মিলবে ৬ হাজার নগদ, এই রাজ্যে বড় ঘোষণা সরকারের
গতকাল তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর যাওয়ার পথে এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের হামলার শিকার হন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। অভিযোগ, রাজ্যপালের গাড়িতে আঘাত করেছিল এসএফআই কর্মীরা। এই আবহে দেশের একমাত্র বাম মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। এদিকে দেখা যায়, 'হামলার' পরপরই নিজের গাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিযুক্তদের তাড়া করেন রাজ্যপাল। পরে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে আরিফ অভিযোগ করেন, বিজয়নের উস্কানি এবং বুদ্ধিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান হলে কখনও এমনটা হতে পারত? পুলিশ কি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির ধারের কাছে কাউকে ঘেঁষতে দেবে? আর এখানে পুলিশের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল বিক্ষোভকারীদের গাড়ি। পুলিশ শুধুমাত্র বিক্ষোভকারীদের তাদেরই গাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। আর পরে তারা পালিয়ে গেল।' (আরও পড়ুন: '৫০% ছাড়… সবচেয়ে সস্তায়…', রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে সংসদে বড় দাবি সরকারের)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জোড়া ঝটকা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর, ফাটালেন একের পর এক 'বোমা'
এরপর আরিফ বলেন, 'আমি বলছি। এই সবই মুখ্যমন্ত্রীর কাজ। তিনি লোক পাঠাচ্ছেন আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করতে। তিনি আমাকে চোট দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। তিরুবনন্তপুরমের রাস্তা গুন্ডাদের দখলে চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যদি আমার কোনও ইস্যুতে মতের অমিল হয়ে থাকে, তার অর্থ এই নয় যে মার্ক্সবাদীরা আমাকে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করবে।' আরিফের অভিযোগ, তাঁর গাড়িকে শুধুমাত্র কালো পতাকাই দেখানো হয়নি, সেই পতাকার লাটি দিয়ে দু'দিক দিয়ে প্রহার করা হয়েছিল তাঁর গাড়িতে। আরিফ বলে, 'গাড়িতে আঘাত করতেই আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। তখন কেন ওরা পালিয়ে গেল? তারা তখনও একটা গাড়িতে বসে এদিকে দেখছিল। পুলিশ সবই জানত। তবে এই বেচারা পুলিশ কী করবে? নির্দেশ তো সব মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আসছে।' রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের গাড়িতে তিন জায়গায় আটকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এর মধ্যে একটি ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর একটি ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।