কেরলের কোচিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে পরপর বিস্ফোরণ ঘটল আজ সকাল সকাল। একটি খ্রিষ্ঠান গোষ্ঠী সেখানে সম্মেলন করছিল বলে জানা গিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই কনভেনশন সেন্টারে অন্তত তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোচির কালামাসেরির কনভেনশন সেন্টারে আজ সকাল ৯টা নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরপর আরও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে ওখানে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেই সম্মেলনে নাশকতার ছকে হামলা চালানো হয়েছে। তবে কে এই হামলার নেপথ্যে, তা এখও জানা যায়নি। এদিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোচির সব হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মীদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। একাধিক হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে এনএসজি এবং সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনীকে দ্রুত কালামাসেরিতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড ইতিমধ্যেই রয়েছে ঘটনাস্থলে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র চার সদস্যের একটি দলও রওনা দিয়েছে কালামাসেরির উদ্দেশে।
এদিকে এই বিস্ফোরণের ভিডিয়ো এবং ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শার্ট পরিহিত অনেকেই মাথার ওপর হাত উঁচিয়ে হাহাকার করছেন এবং দূরে আগুন জ্বলছে। এদিকে একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা ভষ্মীভূত দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। আগুন নেভানোর জন্য সেখানে প্রচুর পরিমাণ জল ঢালা হয়েছিল। সেই জলেই ভাসছে একটি মোবাই। এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আপাতত কনভেনশন সেন্টারটিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বিস্ফোরণে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে গতকাল কেরলের মালাপ্পুরমে অনুষ্ঠিত প্যালেস্তাইনের সমর্থনে হওয়া মিছিলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছিল হামাসের প্রাক্তন প্রধান খালেদ মাশাল। আরবি ভাষায় ভাষণও দেয় হামাস নেতা। কেরলে জামাত-ইসলামির যুব শাখা সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্টের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে কেরলের রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে আগে থেকেই। আর এরই মধ্যে খ্রিষ্ঠানদের এই ধর্মীয় সম্মেলনে নাশকতার ঘটনায় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে সেই রাজ্যের রাজনৈতিক আবহাওয়া।