লাদাখে জারি অচলাবস্থা। নিজেদের জায়গা থেকে সরছে না ভারত-চিন, উভয় পক্ষের সেনা। তার মধ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট করল যে জাতীয় সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের বিষয় কোনও আপোষ করবে না দেশ। ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত-চিন দ্বৈরথ বন্ধ হবে, এমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে জিজ্ঞেস করা হয় যে লাদাখে কী অবস্থা। তারা কী চিনের বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের সঙ্গে একমত যে সীমান্তে অবস্থা স্থিতিশীল ও আয়ত্বের মধ্যে। শ্রীবাস্তব তখন বলেন যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নানান চেষ্টা চলছে বিভিন্ন পর্যায়, কিন্তু জাতীয় সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের বিষয় কোনও আপোষ করা হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রসঙ্গে শ্রীবাস্তব বলেন যে তারা চিনের সঙ্গে চেষ্টা করছেন শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যার সমাধান করতে। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা হচ্ছে, বলে জানান তিনি। ভারতের তরফ থেকে ফের বলা হয় যে তাদের সেনা সীমান্ত পেরোয়নি।
মুখপাত্র বলেন যে ভারত শান্তি রাখতে বদ্ধপরিকর ও নেতারা যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই অনুসারে কাজ করেন তারা। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে যে নিয়ম ও নীতি আছে, সেই অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভাবে সীমান্তে কাজ করে ভারতীয় সেনা, বলে তিনি জানান।
গত দুই দশকে এই সংক্রান্ত পাঁচটি চুক্তি সই করেছে দুই দেশ। তবে চিনের সেনা এখন ভারতীয় জমিতে আছে কিনা, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি শ্রীবাস্তব। তিনি শুধু বলেন কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে। জানা যাচ্ছে, দুই রাষ্ট্রদূত এই আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
তবে মোদ্দা কথা হচ্ছে লাদাখে এখনও অচলাবস্থা জারি। চারটি জায়গায় একেবারে মুখোমুখি দুই সেনা। চিনের বিদেশমন্ত্রক কিছুটা লঘু করার চেষ্টা করলে কী হবে, সেনা নিজেদের জায়গা থেকে নড়ছে না। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের রাস্তা বানানো নিয়ে আপত্তি চিনের। তাই সেখানকার তিন জায়গায় এগিয়ে এসেছে সেনা। প্যাংগং লেকেও চলছে দ্বৈরথ। সেনা বাড়াচ্ছে ভারতও।
তবে ভারতীয় সেনার অনুমান যে এই অচলসাবস্থা অনেক দিন চলবে। তাই আরও সেনা আনার প্রশিক্ষণ চলছে। অন্যদিকে আকসাই চিনে নিজেদের তত্পরতা বাড়িয়েছে চিন।