একটি নয়। গুনলে পাওয়া যাবে, তিন তিনটি লেপার্ড। যে লেপার্ডরা ইন্দোরের ইনফোসিস ও টিসিএস চত্বরকে কার্যত ত্রাসে রেখেছে। সদ্য এক লেপার্ড ও তার দুই সন্তানের হদিশ মিলেছে সেখানে বলে খবর। ফলে স্বভাবতই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ইনফোসিস ও টিসিএস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সঞ্চার হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই চত্বরে বহু আগে থেকেই লেপার্ডের আনাগোনা। তবে সদ্য তার পায়ের ছাপে আতঙ্কের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
আপাতত ইনফোসিস ও টিসিএস কর্মীরা ইন্দোরের ওই ক্যাম্পাসে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রয়েছেন বলে খবর। যেহেতু মা লেপার্ডকে তার দুই সন্তানকে খাবার জোটাতে হচ্ছে, তাই ইনফোসিস ও টিসিএস কর্মীদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্ষুধার্ত ও খাবারের সন্ধানে থাকা লেপার্ড অতি ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, লেপার্ড যে কোনও জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারে। এমনকি বহু উঁচু এলাকাতেও এদের অবাধ বিচরণ থাকে। দুই সংস্থারই কর্মীদের বলা হয়েছে অফিস বিল্ডিং থেকে বেশি না বের হতে। ঘটনাস্থল নজরে রেখেছেন বনদফতরে ডিএফও মহেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি। এদিকে, ইন্দোরের শুধু যে ওই দুটি অফিসের কর্মীদেরই সতর্ক করা হচ্ছে, তা নয়। এলাকাবাসীকেও ড্রাম পিটিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। লেপার্ডের আগমনের ঘোষণা কার্যত গোটা গ্রামে, স্থানীয় এলাকায় হয়েছে। একথা জানিয়েছে বনদফতর।
উল্লেখ্য, ইন্দোরের যে অঞ্চলে ওই লেপার্ডের আনাগোনা রয়েছে, সেখানে রয়েছে গমের বড় বড় ক্ষেত। রয়েছে ঘন জংলা গাছে ঘেরা কিছুটা এলাকা। মনে করা হচ্ছে, সেখানে লেপার্ডটি বহুদিন ধরেই লুকিয়ে ছিল। তবে লেপার্ড তার ছানাপোনা নিয়ে সেখানে একা ছিল না বলেও কারো কারো মত। সেক্ষেত্রে আতঙ্কের পরিমাণ আরও বেশি। এদিকে, সদ্য জন্মদাত্রী মা লেপার্ড অনেকাংশেই বেশ হিংস্র হয়। সেই দিক থেকেও সমস্যার শেষ নেই। সব মিলিয়ে এই লেপার্ড আতঙ্ক বুকে নিয়ে টিসিএস, ইনফোসিস কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের অফিসের দরজা কড়া নিরাপত্তায় এঁটে। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটি আগে বিচার করা হচ্ছে বলে খবর।