বাংলা এবং পঞ্জাব জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়। একলা চলো রে। অর্থাৎ সব আসনেই তাঁরা একক শক্তিতে লড়বেন। এই পর পর সেটব্যাক নিয়েই দেশের নানা প্রান্তে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই আবহে আবার নতুন তথ্য সামনে নিয়ে এলেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসন আছে। তার মধ্যে ২৩টি তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাকি ২৫টি আসন তিন শরিকের জন্য ছেড়ে রাখার কথা বলেছেন। সেখানেও কংগ্রেসের কাছে বার্তা পৌঁছে গেল।
এদিকে কংগ্রেস বুঝতে পারল একা উদ্ধব ঠাকরের দল যদি ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাহলে তিন শরিকের ভাগাভাগিতে যা জুটবে তাতে কোনও লাভ হবে না। যদিও কংগ্রেস এই নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। তবে সঞ্জয় রাউত জানিয়ে দিয়েছেন, বাকি ২৫টি আসন মহা বিকাশ আঘাড়ি, কংগ্রেস এবং এনসিপি’র জন্য ছেড়ে দেবেন। সুতরাং বিরোধের একটা পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সঞ্জয় রাউত নাশিক গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত যে ২৩টি আসনে লড়াই করবে উদ্ধব সেনা। যে কেন্দ্রগুলিতে আমাদের শক্তি রয়েছে সেগুলিতেই লড়াই করব। এমনকী যে প্রার্থীদের জয়ের ক্ষমতা রয়েছে তাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’
অন্যদিকে এটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না। এই বিষয়কে সামনে রেখে শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত আরও জানান, আসন সমঝোতা নিয়ে মহা বিকাশ আঘাড়ির সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে কতটা জট কাটবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে নিজেদের ২৩টি আসনের কথা জানাবেন রাউত বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর তাঁদের পক্ষ থেকে সবটা মেনে নেওয়া হয় কিনা সেটার দিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় মহিলা ছিনতাইবাজের গ্যাং গ্রেফতার, একের পর এক হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ
এছাড়া লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই ইন্ডিয়া জোট গঠন হয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য বিজেপিকে পরাজিত করা। সেখানে জোট নিয়ে জট থেকে গেলে সুবিধা পাবে বিজেপি। সঞ্জয় রাউতের কথায়, ‘বিজেপি সরকারি দফতর যথা—ইডি, সিবিআই এবং আয়করকে অপব্যবহার করছে। বিরোধীদের পিছনে লাগাচ্ছে। যাঁরা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এনসিপি’র বিধায়ক রহিত পাওয়ারের বিরুদ্ধেও তো ইডিকে লাগানো হয়েছে। ৪০ জন বিধায়ককে তো এভাবেই ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার গড়েছেন একনাথ সিন্ধে। ইডির ভয় দেখিয়ে এসব করা হচ্ছে।’