গেম থেকে প্রেম। ভার্চুয়াল জগতে দেখা। কিন্তু বিয়ে হল বাস্তবে। ভালোবাসার টানে মুছে গেল জলপাইগুড়ি-কর্নাটকের দূরত্ব। ধুপগুড়ির যুবক সাইনুল আলমকে বিয়ে করলেন তাঁর স্কোয়াড সদস্য ফ্রিজা।
তবে প্রথমেই কিন্তু এক টিমে খেলতেন না তাঁরা। আলাপের দিন পরস্পরের দিকে গুলি, বোমা কিছুই বাকি রাখেননি তাঁরা। কিন্তু সেই থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। এরপর ইউজার নেম সেভ। ধীরে ধীরে ফোন নম্বর বিনিময়। গেমে পরস্পরকে রিভাইভ করা, কভার করে শত্রু দমন করা, এসব করতে করতে কখন যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গিয়েছে, বুঝতেও পারেননি তাঁরা।
ভার্চুয়াল পরিচয় তো আছে। সেটাকে এরপর বাস্তবে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দেখা করেন ভিডিয়ো কলে। সাইনুলের মুদিখানার দোকান। ব্যবসার ফাঁকে বুঁদ হয়ে থাকতেন গেমে। সবাই দেখে ভাবতেন, ‘এই ছেলে গেম খেলেই শেষ। এর আর প্রেম, বিয়ে-থা হবে না।'
কিন্তু সেই ছেলেই যে গেম থেকে বউ আনবে, তা ভাবননি পরিবার-প্রতিবেশীরা। তবে বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। মুদির দোকান বন্ধ রেখে কর্নাটকে যেতে পারছিলেন না সাইনুল। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। বেঙ্গালুরু থেকে বাগডোগরার উড়ানের টিকিট কেটে নেন ফ্রিজা। চলে আসেন সাইনুলের গ্রাম আলসিয়ায়।
প্রথমে ফ্রিজাকে একা-একা এতদূর আসতে দেখে ঘাবড়ে গিযেছিলেন সাইনুলের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু কথাবার্তা বলে তাঁকে বেজায় পছন্দ হয় তাঁদের। এরপর সাইনুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। শনিবার বিকেলে বিয়ে হয় সাইনুল-ফ্রিজার।