ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে একটি সরকারি স্কুলে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে ছাত্রীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল একজল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীরা নাকি তাদের সঙ্গে ছাত্রীদের ‘বন্ধুত্ব’ করতে বাধ্য করে। দুষ্কৃতীরা নাকি হুমকিও দেয়, ‘বন্ধুত্ব করার নির্দেশ না মানলে ছাত্রীদের অপহরণ করা হবে।’ অভিযোগ উঠেছে, স্কুলে ঢুকে যে যুবকরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা মুসলিম। এই আবহে ‘লাভ জিহাদে’র অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছে বিরোধী বিজেপি। এদিকে এই ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীদের বাঁচাতে অন্যান্য ছাত্র এবং শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছিল। (আরও পড়ুন: সকলের অজান্তে গোটা গ্রামের মালিক ওয়াকফ বোর্ড! ‘আত্মহত্যা করতে...’,স্তম্ভিত কৃষক)
সেই স্কুলের ছাত্রীদের অভিযোগ, হিন্দু এবং আদিবাসী মেয়েদের ক্রমাগত এই ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেরা তাদের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ করতে বাধ্য করছে হিন্দু কম বয়সি মেয়েদের। এদিকে ছাত্রীদের এবং স্কুল ম্যানেজমেন্টের লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। ঘটনা তদন্তের স্বার্থে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘অনুমানই করতে পারেনি সরকার... আরও অেক জীবন বাঁচানো যেত’, দাবি সংসদীয় কমিটির
এদিকে রাঁচির সিনিয়র পুলিশ অফিসার নওশাদ আলম এই ঘটনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করা অর্থহীন। এখানকার মানুষ বুদ্ধিমান। পুলিশ নিরপরাধকে স্পর্শ করবে না কিন্তু দোষীরাও রেহাই পাবে না।’ এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে হেমন্ত সোরেনের সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। বিজেপির তরফে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘কিছু হতাশ মুসলিম পুরুষ হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করছে এবং সরকার এটা বন্ধ করার জন্য কিছুই করছে না।’