বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। যদি কোনও স্ত্রী বিয়ের পূর্ণতা দিতে অস্বীকার করে বা স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করেন তাহলে তা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান। সেক্ষেত্রে হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ দাবি করতে পারেন। তা হল বৈধ কারণ। এই বলে হাইকোর্টের বিচারপতি শীল নাগু এবং বিনয় সরফের ডিভিশন বেঞ্চ একটি ফ্যামিলি কোর্টের রায় বাতিল করেছে।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গন ‘অপ্রতিরোধ্য’ হলেও সবক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদই সমাধান নয়,মত সুপ্রিম কোর্টের
মামলার বয়ান অনুযায়ী, দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৬ সালের ১২ জুলাই। কিন্তু, বিয়ের পরেও স্ত্রী তা মেনে নেননি এবং তিনি স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য যৌন সম্পর্ক করতেও অস্বীকার করেছিলেন। এরইমধ্যে কাজের সূত্রে বাইরে চলে যান স্বামী। এরপর ওই ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ফ্যামিলি কোর্ট। আদালতের বক্তব্য ছিল এভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করা যায় না। পরে ফ্যামিলি কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেই সংক্রান্ত মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, স্ত্রী তাঁর স্বামীর দাবির কোনও বিরোধিতা করেননি। বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, ‘আমরা মনে করি কোনও শারীরিক অক্ষমতা বা বৈধ কারণ ছাড়াই একতরফাভাবে যৌন সঙ্গম করতে অস্বীকার করা মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান হতে পারে।’
এই বলে ২০১৪ সালের ফ্যামিলি কোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ ফ্যামিলি কোর্টের রায়ের ভুল ধরিয়ে দিয়েছে। আদালত আরও উল্লেখ করেছে, ওই মহিলা অবগত ছিলেন যে তাঁর স্বামী ভারত ছেড়ে চলে যাবেন। তারপরেও বিয়ের পর পূর্ণতা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। যদিও স্বামী এই বিয়েকে স্বীকার করেছিলেন তবে ওই মহিলা বিয়ে মেনে নেননি। অবশ্যই এই কাজটি মানসিক নিষ্ঠুরতার সমান।তাই পারিবারিক আদালতের রায় বাতিল করে তা বাতিল করা হয়েছে। এই মামলায় স্বামী আদালতে হাজির হয়েছিলেন। যদিও স্ত্রীর পক্ষে কেউ আদালতে হাজির হয়নি।