দিল্লি গাজিয়াবাদ মিরাট RRTS প্রকল্পে বড় অগ্রগতি। ন্যাশানাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন এবার মিরাটের দিকে সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ সম্পূর্ণ করল। বুধবার সংস্থার তরফে একথা জানানো হয়েছে।
কর্পোরেশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিনটি সেগমেন্টে সব মিলিয়ে ৬টি সমান্তরাল টানেল করা হয়েছে। শেষ ও ষষ্ঠ টানেলটি প্রায় ১ কিমি লম্বা হবে। বৈশালী থেকে বেগমপুলের মাঝে হবে এই টানেল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে মাত্র ১৫ মাসে ৫.৫ কিমির কাজ হয়ে গিয়েছে।
এই টানেলের কাজে সাতটি সেগমেন্টকে জুড়ে একটি রিং করা হয়েছে। একটা করে পর্যায় প্রায় ১.৫ মিটার লম্বা ও ২৭৫ মিমি চওড়া। বোল্ট দিয়ে এগুলি যুক্ত করা হচ্ছে।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম মিরাটে এই টানেল তৈরি হয়েছিল। এবার শেষ টানেলের কাজ শেষ হল। এদিকে যে টানেলগুলি আগেই তৈরি করা হয়েছিল সেখানে লাইন পাতার কাজ হয়েছে। মিরাটের এই টানেলগুলিতে আগে থেকে তৈরি করে রাখায় ঢালাই বসানো হচ্ছে।
এদিকে মাটির তলার স্টেশনগুলির মধ্য়ে মিরাট সেন্ট্রাল আর বৈশালী পড়ছে। তবে বেগমপুলি স্টেশনটা লোকাল মেট্রো ও RAPIDX দুটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত এই ট্রেনের প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার। এমনই অত্যাধুনিক রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (আরআরটিএস) ট্রেনের প্রথম ছবি সামনে এনেছিল কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রক। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় তৈরি সেই ট্রেন প্রাথমিকভাবে দিল্লি, গাজিয়াবাদ ও মিরাটের মধ্যে চলাচল করবে।
কেমন হবে এই ট্রেন?
এটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। কম ওজনের সেই ট্রেনের দরজাও বড় রাখা হচ্ছে। প্রতিটি কোচে ছ'টি স্বয়ংস্ক্রিয় প্লাগ-ইন দরজা থাকবে। প্রতিটি দিকে তিনটি দরজা থাকবে। বিজনেস ক্লাসের ক্ষেত্রে দু'দিকে দু'টি করে মোট চারটি দরজা থাকবে। আর সেই ট্রেনের সব দরজা একইসঙ্গে খুলবে না। তার ফলে শক্তি সাশ্রয় হবে। এনসিআরটিসির প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সুধীর শর্মা জানিয়েছিলেন, ‘ভিতরে এবং বাইরে একটি পুশ বাটন থাকবে। যার সাহায্যে যাত্রীরা দরজা খুলতে পারবে। নাহলে সব দরজা একসঙ্গে বাতানুকূল পরিবেশে খরচ বেশি হয়।’
একেবারে অত্যাধুনিক ট্রেন। তবে সেই ট্রেনের জন্য তৈরি হয়েছে বড় বড় সুরঙ্গ। সেই সুরঙ্গ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হল এবার।