সারমেয়দের ভাইরাল ভিডিয়োতে ভরতি সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার খুললেই দেখা যায় সারমেয়দের প্রতি তাদের 'অভিভাবকদে'র ভালোবাসা। এই ধরনের বহু ভিডিয়ো বা পোস্টই ভাইরাল হয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কোনও সারেয়র প্রতি এত গভীর ভালোবাসা কি থাকতে পারে, যেখানে একজন নিজের প্রাণ দিয়ে এক কুকুরকে বাঁচাচ্ছে? সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের মইনপুরী। বুলেট থেকে এক সারমেয়কে বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিলেন ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীর নাগলা পেন্থ গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত যুবকের নাম দীপক সাক্সেনা। বয়স ২৫ বছর। এদিকে ঘটানায় অভিযুক্তের নাম রাধে শ্যাম যাদব। তার বয়স ৩৫ বছর। অভিযোগ, একটি ক্ষেতে একটি কুকুরখেলা করছিল। সেই সময় কুকুটির ওপর গুলি চালিয়েছিলেন রাধে শ্যাম। এদিকে কুকুরকে বাঁচাতে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন দীপক সাক্সেনা। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দীবপকের। যদিও দীপকের আত্মত্যাগের জন্য বেঁচে যায় এক নিষ্পাপ সারমেয়র জীবন। তবে গোটা ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোদ, ক্ষেতে এক কুকুরকে বিচরণ করতে দেখে নিজের বন্দুক চালায় শ্যাম যাদব। তবে সেই গুলি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হয় কুকুরটি। তবে দ্বিতীয়বার গুলি চালায় শ্যাম। সেই বার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে দীপক। কুকুরটি ফের বেঁচে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বন্দুক নিয়ে শ্যাম আক্রমণ করে দীপকের বিরুদ্ধে। শ্যামের গুলিতে মাটিতে লুটি পড়ে দীপক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপকের। স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, দীপক যদি কুকুরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা না করতেন, তাহলে তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন। তবে কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে শ্যামের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করায় প্রাণ খোয়াতে হল দীপককে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত দীপকের বাবা ইন্দ্রপাল সক্সেনা বলেন, 'আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এখন যাদবের পরিবার আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের সমঝোতা করে নিতে বলছে। আমাদের এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে বারণ করছে। এখন তো আমাদেরই জীবন বিপন্ন। আমাদের হয়ত গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।' এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে মইপুরীর এসপি কমলেশ কুমার দিক্ষিত বলেন, 'সক্সেনার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা মৃতের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেয়েছি এবং এর প্রেক্ষিতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। অভিযুক্ত রাধে শ্যামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছি।' এদিকে অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে তিনটি বিশেষ তদন্তকারী দল ঘটন করা হচ্ছে। তারা নিজেদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।