ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এতদিন সেভাবে মুখ খোলেননি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। কিন্তু, বর্তমান অবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কোনও কোনও কূটনীতিবিদ। এমন সময়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের অক্সিজেন সংরক্ষণ করে রাখার অভিযোগ তোলেন। এরপরেই মুখ খুললেন কেউ কেউ।
ভারতে তানজানিয়ার প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতা কর্নেল ডঃ বিউটাস লুলার গত সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখে জানিয়েছে তানজানিয়া। মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের কথায়, 'আমরা গোটা পরিস্থিতিটাকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের কর্মীদের জন্য যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। টিকাকরণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' যদিও এর বাইরে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি।
অন্যদিকে বিভিন্ন দূতাবাসে অক্সিজেনের মতো করোনা নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সংরক্ষিত করে রাখারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য, 'এটা সত্যিই উচিত্ নয়। কিন্তু কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যেটুকু করা প্রয়োজন, তা করতেই হচ্ছে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দূতাবাস আধিকারিকের কথায়, 'করোনা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রককেই জানানো উচিত্। কিন্তু সত্যি বলতে দিল্লির যা অবস্থা তাতে হাতের কাছে যে সাহায্য মিলবে, সেটাই দ্রুত গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নেই।'
ভারতে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে বহু দেশই তাদের অধিকাংশ দূতাবাসকর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও নরওয়ের দূতাবাসে হাতেগোনা কয়েকজন বাদ দিয়ে সকলকেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের যতটা সম্ভব অবশ্যই সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র কূটনীতিকদের জন্য বেড সংরক্ষণ করে রাখা এই পরিস্থিতিতে সত্যিই অসম্ভব।'
'