সম্প্রতি অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক। সেই অন্নপূর্ণা পর্বতেই নিখোঁজ হয়েছিলেন ভারতীয় পর্বতারোহী অনুরাগ মালু। গত ১৭ এপ্রিল অন্নপূর্ণার তৃতীয় ক্যাম্পের নীচে নামার সময় নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে নেপালের পোখরায় মনিপাল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৭ এপ্রিল দুপুরের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রাজস্থানের এই ৩৪ বছর বয়সি পর্বতারোহী। রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্নপূর্ণার চতুর্থ ক্যাম্পে নামছিলেন অনুরাগ। সেই সময়ই নাকি ১৯ হাজার ফুট নীচের একটি খাদে পড়ে যান তিনি। নিখোঁজ পর্বতারোহীর খোঁজে আকাশপথে হেলিকপ্টারে করে তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে আজ তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
রাজস্থানের কিষানগড়ের বাসিন্দা অনুরাগ মালুর লক্ষ্য ছিল আট হাজার মিটারের থেকে উঁচু সকল শৃঙ্গ জয় করা। এছাড়া বিশ্বের সাত মহাদেশের ৯টি উচ্চতম শৃঙ্গ জয় করে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এহেন পর্বতারোহী অন্নপূর্ণার চতুর্থ ক্যাম্পে নামার সময় খাদে পড়ে যান। জানা গিয়েছে, খাদের ৩০০ মিটার গভীর থেকে অনুরাগকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর ভাই নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে অনুরাগকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে তিনি ছাড়াও হিমাচলের মেয়ে বলজিৎ কউরও নিখোঁজ হয়েছিলেন অন্নপূর্ণায়। অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন বলজিৎ। তবে শৃঙ্গ থেকে নীচে নামার সময় নিখোঁজ হন তিনি। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। ক্যাম্প ৪-এর কাছে তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয়। তবে তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৮ এপ্রিল। মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে মাউন্ট মানসলু জয় করেছিলেন তিনি। অক্সিজেন ছাড়া মানসলু জয় করা কনিষ্ঠতম মহিলা পর্বতারোহী হয়েছিলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি ভারতের প্রথম নারী হিসেবে ৬টি আট হাজারি শৃঙ্গ জয় করেছেন। এবং দ্রুততম ভারতীয় হিসেবে এই কাজ তিনি করেছেন। ৮ হাজার মিটারের উঁচু ৬টি শৃঙ্গ জয় করতে তিনি নিয়েছেন মাত্র ৫ মাস ২ দিন। এদিকে এক মাসেরও কম সময়ে তিনি ৪টি আট হাজারি শৃঙ্গ জয়ের নজির গড়েছিলেন।