মন্ত্রী হলে কত কী না করতে হয়! কিন্তু তা বলে ক্ষমা চেয়ে পা ধুইয়েও দিতে হয়! সেটাই হয়েছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। সেখানে একটি রাস্তার বেহাল দশা। এদিকে সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এনার্জি মিনিস্টার প্রধুমান সিং তোমার। সেখানেই বেহাল রাস্তার মধ্যে পায়ে কাদামাখা এক যুবককে দেখতে পান তিনি। এরপরই তিনি স্থানীয় এক যুবকের পা ধুইয়ে দেন। এর সঙ্গেই তিনি ক্ষমাও চান।
মন্ত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির জন্য় আমি ক্ষমা চেয়েছি। রাস্তা সারিয়ে দেওয়ার জন্য আমি কথা দিয়েছি। আসলে নিকাশির পাইপের জন্য রাস্তায় খোঁড়খুড়ি হয়েছিল।
তবে এভাবে পরিষেবার ঘাটতির জন্য ক্ষমা চেয়ে যুবকের পা ধুইয়ে দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যেই মন্ত্রী এলাকার রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হন। সেই রকমই তিনি বের হয়েছিলেন। স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালের কাছে মন্ত্রী দেখেন একজন যুবক কাদামাখা পায়ে আসছে। এটা দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। এরপরই তিনি ওই যুবক তাঁকে রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির কথা জানান। তারপর মন্ত্রী জল নিয়ে এসে ওই যুবকের পা ধুইয়ে দেন। এই ঘটনা নজর কেড়েছে অনেকেরই। এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। তবে কাদাতে মন্ত্রীর গাড়িও আটকে গিয়েছিল। তিনি নিজে গাড়ি থেকে নেমে ঠেলা শুরু করেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি যেখানে আজ রয়েছি সেটা সাধারণ মানুষের জন্য। পাবলিক আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন। তাদের রাস্তা. জল, বিদ্যুতের দায়িত্ব আমার উপর। সেকারণে আমি নিজে সব জায়গায় গিয়ে সমস্য়াগুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে রাস্তা সারাই না হওয়াতে মন্ত্রী প্রায় তিন মাস চটি ছাড়াই যাতায়াত করতেন।
এদিকে অনেকে আবার এই ঘটনায় বাংলার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের তুলনা করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি বাংলায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। বীরভূমের গ্রামে গিয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাবারের সামনে ছবি তুলে উঠে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে সাগর সাগর বিশ্বাসকে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শিবম রায়। অভিযোগ এমনটাই এনিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে।