মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে আরও ৪৯জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর লোকসভার সচিবালয় থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এই সাসপেনশনের জেরে সাংসদদের বিরুদ্ধে কী কী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছ। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাংসদের সাসপেশনের সময়কালের জন্য সংসদের নির্দিষ্ট চেম্বার, লবি এবং গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, 'সংসদরা পার্লামেন্টারি কমিটিতে রয়েছেন, সেই কমিটি তাঁদের নামে কোনও কার্যবিধি রাখতে পারবে না। তাতে আরও বলা হয়েছে, 'সাসপেনশনের সময় তাঁদের উত্থাপিত কোনও নোটিশ গ্রহণযোগ্য নয়। সাসপেনশনের সময়কালে অনুষ্ঠিত কমিটির নির্বাচনে তাঁরা ভোটও দিতে পারবেন না।'
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার ফলে সাংসদের আর্থিক বিষয়গুলি নিয়েও স্পষ্ট বলা হয়েছে সার্কুলারে। তাতে বলা হয়েছে,'অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য তাঁরা দৈনিক ভাতা পাওয়া অধিকারী নয়। '
নজিরবিহীন পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ১৪১ জন সাংসদ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। লোকসভা থেকে ৯৫ জন এবং বিধানসভা থেকে ৪৬ জনকে শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময় পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সংসদের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করবে সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, এর ফলে সংক্ষিপ্ত আলোচনা মধ্যে দিয়ে দ্রুত বিলগুলি পাশ হয়ে যাবে।
(পড়ুন। ‘শুধু এইটা করে দিন…’ ইভিএম নিয়ে বিরাট বিবৃতি জারি করল ইন্ডিয়া জোট)
গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় ২ যুবকের ঢুকে পড়ে এবং ধোয়া ক্যানিস্টার ফাটায়। এই নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। তারপর সংসদদের একাংশকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। এর প্রতিবাদে আগামী ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, 'সাংসদদের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য বেশ কয়েকটি নিয়েছি। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করব এটা ঠিক নয়...আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'