দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হল মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নির্ধারিত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা সেই ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।
মুম্বইয়ের লাইফলাইন ফের চালু করা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বৃহন্মুম্বই পুরনিগম, মধ্য এবং পশ্চিম রেলের কর্তারা। সেই প্রস্তাব রেল মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় লোকাল ট্রেন চালানোয় সবুজ সংকেত দেয় রেল মন্ত্রক। প্রাথমিকভাবে মধ্য রেলওয়ে প্রায় ২০০ টি ট্রেন এবং পশ্চিম রেল ৭৩ জোড়া ট্রেন চালাতে পারে।
সেইমতো সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় লোকাল ট্রেন চলাচল। শহরতলির নির্ধারিত রুটেই সেই ট্রেনগুলি দাঁড়াচ্ছে। পশ্চিম রেলের ট্রেনগুলি চার্চগেট, মুম্বই সেন্ট্রাল, বান্দ্রা, আন্ধেরি, বরিভেলি এবং দহিসর ও ভিরারের মধ্যে সব স্টেশনে দাঁড়াচ্ছে। মধ্য রেলওয়ের ট্রেনগুলি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাল, বাইকুল্লা, দাদার, কুরলা, ঘাটকোপার, মুলুন্দ, থানে, ডিভা, দম্বিভালি, কল্যাণ, তিতওয়ালা, আসাগাঁও, কতাসারা, আম্বেরনাথ, বদলাপুর, নেরাল এবং কাজরাতে স্টপেজ দিচ্ছে। হারবার লাইনের ভাদালা, মানখুর্দ, ভাসি, জুইনগর, নেরুল, বেলাপুর এবং পারেল স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে।
ট্রেনে যাতায়াতের জন্য যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে প্রতিটি ট্রেনে সর্বাধিক ৭০০ জনকে ওঠার অনুমতি দিচ্ছে রেল। এমনিতে ১২ কোচের ট্রেনে যাত্রীবহন ক্ষমতা ১,২০০। কিন্তু অফিস টাইমে যাত্রী সংখ্যা ৫,০০০-এ গিয়ে ঠেকত। মধ্য ও পশ্চিম রেলের স্টেশনে কয়েকটি টিকিট কাউন্টার খোলা আছে। পাশাপাশি, মান্থলির সময়সীমাও বাড়ানো হচ্ছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন বন্ধের কারণে যতদিন নষ্ট হয়েছে, মান্থলির সময়সীমা ততদিন বাড়ানো হবে।
যে কর্মীরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কিউআর সম্বলিত ই-পাস দেবে পুরনিগম। তাতে তাঁদের ছবি, নাম, পদ, অফিসের স্টেশনের নাম, বাড়ির স্টেশনের নাম এবং মোবাইল নম্বর থাকবে। তা দেখালেই ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি মিলবে। তবে নিজেদের স্বার্থে সেইসব কড়াকড়ি হাসিমুখেই মেনে নিচ্ছেন যাত্রীরা। বরং কর্মস্থলে যাওয়ার ঝক্কি কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা।