রাজ্যো পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে সরগরম রাজনীতি। এদিকে, তার আগে থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে তপ্ত বাংলা। তারই মাঝে রোজগার মেলার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে টার্গেট করে নাম না করে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে, রাজনৈতিক বংশবাদ, পরিবারবাদ ও নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ‘রেটকার্ড’ প্রসঙ্গ।
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রোজগার মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ৭০ হাজার জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। সেখানেই মোদীর বক্তব্যে উঠে আসে, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার দিক থেকে নানান ইস্যু। প্রধানমন্ত্রী সেখানে নাম না করে বলেন,'আমকরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি দেশের একটি রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে'। মোদী বলেন,'সরকারি চাকরির আলাদা আলাদা পদের জব্য রেট ঠিক করা হয়েছে, রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তাহলে আলাদা রেট, গাড়ির চালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষকের প্রত্যেকের আলাদা রেট আছে।' মোদী বলেন, ‘যখন আমরা কাজ করছি যুব সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যত বাঁচাতে, তখন রেটকার্ড স্বপ্ন তুরমার করছে। আপনারা বিচার করুন যে যুব সমাজের ভবিষ্যৎ রেটকার্ড শাসন করবে, নাকি নিরাপত্তা?’
( প্রকাশিত হল নিট ইউজির ফলাফল, সেরার সেরাদের পার্সেন্টাইল কত? বিস্তারিত জানুন)
মোদী কটাক্ষের মেজাজে বলেন,'রেস্তোরাঁয় যেভাবে মেনু কার্ড তৈরি হয়, সেভাবে প্রতিটি চাকরির পোস্টিংয়ের জন্য রেটকার্ড তৈরি হয়।' উল্লেখ্য, বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে সদ্য তোলপাড় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। শিক্ষক নিয়োগ থেকে সরকারি গ্রুপ সি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি প্রসঙ্গ উঠে আসে। তদন্তে নামে ইডি। মামলায় তদন্ত এখনও চলছে। এদিকে, মোদী তাঁর ভাষণে এদিন পরিবারবাদ ইস্যুতে খোঁচা দেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে নিয়েও। রেলের জমির বদলে চাকরি দুর্নীতি নিয়েও এদিন সুর চড়া করেন মোদী। কংগ্রেস সরকারকে তাক করে মোদী বলেন,'দুর্নীতি ও অর্থের অপব্যবহার ওই সরকারের হলমার্ক'।