ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শি জিনপিংয়ের। এই বার্তালাপ নিয়েই এখন নতুন করে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক চাপানউতোর। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথাবার্তা বলা প্রসঙ্গে চিনা বিদেশ মন্ত্রক সম্প্রতি এক বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করে, ভারতের তরফেই নাকি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই নাকি জিনপিং কথা বলেছিলেন মোদীর সঙ্গে। এদিকে এই বিবৃতির পরই মুখ খুলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ভারত নয়, বরং চিনই দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছিল যাতে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদী কথা বলেন। তার প্রেক্ষিতেই মোদী জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পরে এই বার্তালাপ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব জানান, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি প্রতিষ্ঠা করা খুবই প্রয়োজন। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজার রাখতে জিনপিংয়ের কাছে আবেদন করেন মোদী।
উল্লেখ্য, ৩ বছর আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এরপর থেকে বেশ কয়েক দফায় সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে সীমান্তে। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। এদিকে চিনের একাধিক অ্যাপকে বিগত দিনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কর ফাঁকির বিষয়ে কড়া হয়েছে সরকার।
বাণিজ্যের স্বার্থে চিন বরাবর দাবি করেছে, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছ'। তবে ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড়। প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বারবার বলেছেন, 'সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব নয়'। আর এই আবহে গত এই তিন বছরে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি ভারত ও চিনের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। তবে এর আগে জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রনেতা মত বিনিময় করেছিলেন। আ রব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেও কথা হয় দু'জনের। এদিকে আর দুই সপ্তাহ পরই জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসার কথা শি জিনপিংয়ের।