দামামা বাজিয়েছিলেন অমিত শাহ। তার ২৪ ঘণ্টা পরই বিধানসভা ভোটের প্রচারে সমালোচনার সুর আরও তীব্র করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। নাম না করে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাবড়ি দেবীকে একহাত নিয়ে নীতিশ দাবি করেন, ‘স্বামী-স্ত্রী’ জুটির জন্য ১৫ বছর আগে বিহারে নেতিবাচক শক্তির দাপট ছিল। যা তাঁর সরকারের আমলে পালটে গিয়েছে।
ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের বুথস্তরের কর্মীদের কাছে পৌঁছানোর কর্মসূচিতে জেডিইউ সুপ্রিমো বলেন, ‘২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহার বলতে অনগ্রসরতা, দুর্নীতি, আইনের অভাব, হত্যাকাণ্ড, অপরাধ এবং নৈরাজ্য বোঝাত। পুরো রাজ্যে অন্ধকার মেঘে ঢাকা থাকত। আমরা সেই নেতিবাচকতা পালটেছি এবং প্রতিটি পঞ্চায়েতে বিদ্যুৎ, সর্বত্র রাস্তা, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রথমে উচ্চ বিদ্যালয়ে ওঠা মেয়ে ও পরে ছেলেদের সাইকেল প্রদান, সবুজের আস্তারণ বৃদ্ধি ও ক্রমাগত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে উন্নয়নের ফল পৌঁছানো নিশ্চিত করা হয়েছে।’
সেই কর্মসূচিতে সুপল, মাধেপুরা, সাহারসা, আরারিয়া, কিষানগঞ্জ, পূর্ণিয়া, কাটিহারা এবং দারভাঙ্গা এলাকার কর্মীদের সঙ্গে চারটি পৃথক সেশনে আলাপচারিতা সারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জোটসঙ্গী বিজেপির ধাঁচে ভার্চুয়াল বৈঠকে নীতিশ বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিহারে যা হয়েছে, তা সেই সময় (লালু-রাবড়ির আমলে) অকল্পনীয় ছিল। এটা বাস্তব, যা সবাই দেখতে পাবেন। মানুষ পরিবর্তন উপলব্ধি করেছেন। এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রায় তাঁরাও সামিল আছেন। যার মধ্যে রয়েছে বাল্যবিবাহ, পণ এবং মদের বিরুদ্ধে প্রচারের মতো সমাজ সংস্কারমূলক উদ্যোগ।’
নীতিশ দাবি করেন, ক্ষমতায় আসার আগে তিনি ‘ন্য়ায়বিচারের উন্নয়ন’-এর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং তফসিলি জাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু, বঞ্চিত শ্রেণির মানুষের কল্যাণ ও মহিলা ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তা বাস্তবে পরিণত করেছেন।