বিশ্বজুড়ে Covid-19 ত্রাস সঞ্চার করলেও নভেল করোনাভাইরাসকে দেশছাড়া করতে সফল হল নিউ জিল্যান্ড। সোমবার এই ঘোষণা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডার্ন।
নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, দেশে আর একজনও Covid-19 রোগী নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্ন অবস্থানই সাফল্যের প্রাথমিক ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তবে নিউ জিল্যান্ত সরকারের কড়া লকডাউন বিধি নাগরিকরা মেনে চলার ফলেই করোনা বিদায় সম্ভব হয়েছে বলে দাবি আর্ডার্নের।
সরকারি হিসেব বলছে, করোনা সংক্রমণে নিউ জিল্যান্ড আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১,৫০০ এর কিছু বেশি মানুষ, মারা গিয়েছেন ২২ জন। সোমবার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শেষ যে করোনা আক্রান্ত রোগীর উপরে নজরদারি চলছিল, তিনি সেরে উঠেছেন।
যদিও নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বিদেশ থেকে জীবাণু সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বর্তমানে দেশের সীমান্ত সিল করা রয়েছে।
করোনামুক্ত হওয়ার মানে অবশ্য দেশ থেকে জীবাণুকে পুরোপুরি মুছে দেওয়া নয়, জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আসলে কমপক্ষে টানা ২৮ দিন নতুন সংক্রমণ না ঘটলে সেই দেশ বা অঞ্চলকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়। খাতায়-কলমে নিউ জিল্যান্ডের ক্ষেত্রে সেই দিনটি হতে চলেছে আগামী ১৫ জুন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী আর্ডার্ন জানিয়েছেন, বর্তমানে চালু সতর্কতা লেভেল ২ থেকে এবার নিউ জিল্যান্ড সতর্কতা লেভেল ১-এ উন্নীত হবে। মঙ্গলবার থেকে দেশে আরোপিত সমস্ত করোনা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে বহাল থাকবে সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ।