গত ২৩ জুন বিরোধী দলগুলি মিটিংয়ে বসেছিল পাটনায়। একসঙ্গে লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানিয়েছেন তারা। তবে এবার পরের মিটিং কবে?
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পরবর্তী মিটিং হবে ১৩ ও ১৪ জুলাই। এই মিটিং হবে বেঙ্গালুরুতে।
অন্তত ১৫টি বিরোধী দলের ৩২জন নেতা পাটনায় মিটিং করেছিলেন। তারা বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করতে চাইছেন। এনসিপি প্রধান জানিয়েছেন, পাটনায় বিরোধীদের মিটিং হওয়ার পরেই অস্থির হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে পাটনার মিটিংয়ের পরে অবশ্য় বলা হয়েছিল পরের মিটিং হবে ১০-১২ জুলাই। সেটা হওয়ার কথা ছিল সিমলায়। তবে এবার শারদ পাওয়ার জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পরবর্তী মিটিং হবে ১৩ ও ১৪ জুলাই। এই মিটিং হবে বেঙ্গালুরুতে। তাহলে জোটের মিটিং সিমলাতে নয়, হবে বেঙ্গালুরুতে।
এদিকে গত মিটিংয়ে বিরোধী জোটের পরবর্তী মিটিং হবে সিমলায়। প্রথম পর্যায়ের এই বিরোধী জোটের মিটিংয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির সিএম অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খণ্ডের সিএম হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন সিএম উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সহ দেশের বিরোধী মুখেরা হাজির ছিলেন। এবার কারা হাজির থাকেন সেটাই দেখার।
তবে সেই মিটিংয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের মনোমালিন্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জোটের মিটিংয়ের মধ্য়েই আপকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। আসলে দিল্লির প্রশাসনিক কাজে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য অর্ডিন্য়ান্স আনতে চাইছে কেন্দ্র। তারই বিরোধিতা করেছে আপ। তবে এনিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান এখনও ধোঁয়াশা। এটা নিয়েই মিটিংয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল।
পরে বিবৃতি দিয়ে আপ জানিয়েছিল কংগ্রেস ছাড়া ১১টি বিরোধী দল যারা রাজ্য সভায় রয়েছে তারা কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধিতা করছে। কেন কংগ্রেস নীরব রয়েছে তাতে বাস্তবে তাদের মতলবটা কী সেটা বোঝা যাচ্ছে না। জানিয়েছিল আপ। খবর এএনআই সূত্রে।
তবে সেই বিরোধী জোটের মিটিংকে কটাক্ষ করে কাশ্মীর থেকে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, পাটনায় একটি ফটো সেশন অনুষ্ঠান হয়েছে। যেখানে বিরোধীদের সব নেতারা এক মঞ্চে ছিলেন। তারা এই বার্তা দিতে চাইছেন তারা বিজেপি, এনডিএ আর মোদীজিকে চ্যালেঞ্জ করবেন। আমি বলতে চাই তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাদের মধ্য়ে ঐক্যবদ্ধতা সম্ভব নয়। যদি তারা ঐক্যবদ্ধ হন তবুও মোদীজি ৩০০ আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটা নিশ্চিত।