জুনের ২৩ তারিখ বিহারের পাটনায় রয়েছে হাইভোল্টেজ বৈঠক। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সমস্ত বিরোধী দল সেখানে বৈঠকে বসতে চলেছে বলে খবর। বিজেপি বিরোধী শিবির যে ধীরে ধীরে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বৈঠক। এই বৈঠকের আগে, পাটনায় নীতিশ কুমার বলেন, লোকসভা ভোট সময়ের আগে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কার্যত দিল্লির রাজনীতির তপ্ত জমিতে এই বার্তা বেশ প্রাসঙ্গিক।
মনে করা হচ্ছে, লোকসভা ভোট ঘিরে পিচ পোক্ত রাখতে নীতীশের এই বার্তা 'প্রেশার গেম' এর সামিল। প্রসঙ্গত, পাটনায় একটি গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ঘিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লোকসভা ভোট নিয়ে মুখ খোলেন নীতীশ। এই অনুষ্ঠানে ৫.০৬১ টি নয়া স্কিমের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট ২০২৪ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে হওয়ার জন্য শিডিউল করা রয়েছে। আর সেই ভোটই আগে করা নিয়ে বড় বার্তা দিয়ে কার্যত 'প্রেশার গেম' ধরে রাখলেন নীতীশ। তিনি এক ভিডিয়ো কনফরেন্সের মাধ্যমে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন,' আমাকে দফতরের রিভিউ মিটিংএ বলা হয়েছে যে, সমস্ত কাজ ২০২৪ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে। আমি সকলের কাজে অনুরোধ করব, যাতে সব কাজ তাড়াতাড়ি হয়। কেউ জানে না কখন লোকসভা ভোট হবে। এটাও স্থির নয় যে আগামী বছরই লোকসভা ভোট হবে। হতে পারে সেটা আগেও হয়ে যেতে পারে। যেমন হতে পারে এই বছর।' সব কাজ যাতে ২০২৪ এর আগে শেষ হয়, তার জন্য বিহারের সরকারি আমলাদের বার্তা দেন নীতীশ কুমার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিঅই নেতা নীতীশ কুমার বলেন,'যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে, ততই ভালো। তাতে মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যাবে যে, সরকার কোন কাজ করেছে। আমি খুশি হব, যদি কাজটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।' এদিনের বৈঠকে নীতীশ কুমার তুলে ধরেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে বিজেপি সরাকরের গতিবিধির কথা। তিনি বলেন, গ্রামীণ রাস্তা সেই সময় ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারি ফান্ড থেকে তৈরি হত। বর্তমানে মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলে নীতীশ কুমার বলেন, 'যাঁরা বর্তমানে কেন্দ্রে রয়েছেন তাঁরা এই টাকা ৬০ আর ৪০ এর অনুপাতে রেখেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। এটাকে পিএম সড়ক যোজনা বলা হচ্ছে, আর তার মাত্র ৬০ শতাংশ আসছে কেন্দ্রের থেকে। আমরা এটা (গ্রামীণ রাস্তা) নিজেদের থেকে গড়ে তুলব।'
এদিকে, সামনেই রয়েছে ২৩ জুন বিহারের পাটনায় বিরোধী সব দলের বৈঠক। তার আগে নীতীশের এই বার্তা কি বিজেপিকে চাপে ফেলতেই হয়েছে? এর উত্তরে বিজেপির তরফে দলের ওবিসি সেলের জাতীয় সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেন,'আগে লোকসভা ভোট হওয়া নিয়ে নীতীশ কুমার প্রচার চালাচ্ছেন শুধু শিরোনামে থাকতে। যদি তিনি খুব চাপেই থাকেন.. আর আরজেডির চাপে থাকেন যাতে তিনি পদত্যাগ করলে তেজস্বী এগিয়ে যেতে পারেন। তিনি (নীতীশ) প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, নিজের মনগড়া জিনিস।' এদিকে, আরজেডির তরফে মুখাপ্তর শক্তি যাদব বলছেন,'বিজেপি নার্ভাস হয়ে গিয়েছে। বিরোধী ঐক্য, বেকারত্ব বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি.. তারা লোকের মুখের সামনে দাঁড়াতে পারছে না। '