আব্রাহাম থমাস
কোনও ঘৃণাসূচক বক্তব্য বা হিংসার ঘটনা হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্রকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিকেও এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসলে হরিয়ানাতে দিন কয়েক আগে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ছড়িয়েছিল। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তারই প্রতিবাদে একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে শাহিন আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি দ্রুত এনিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও এনিয়ে আবেদন জানান। তাঁর মতে এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল বের হলে আবার নতুন করে ঘৃণা ছড়াবে। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্য়ে হানাহানি শুরু হয়ে যাবে।
এরপরই দ্রুততার সঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ দুপুর ২টো নাগাদই এই আবেদনের শুনানির নির্দেশ দেন। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের এটা আশা ও বিশ্বাস যে রাজ্য সরকার কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তব্যকে প্রশয় দেবে না। কোথাও যাতে সম্পত্তির ক্ষতি না হয় সেটা দেখতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে এনিয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু কেন্দ্রের পক্ষে আদালতে ছিলেন। তিনি হরিয়ানা , উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারের সঙ্গে যোগযোগ করবেন।
আদালত রাজ্যকে ও পুলিশকে জানিয়েছে, আইনের শাসনকে মানতেই হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কোথাও যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, কোনও ঘৃণাসূচক বক্তব্য না হয়, কোনও হিংসা না হয় বিশেষত নারীদের উপর। পুলিশ কোথাও হিংসা আঁচ করলে সিসি ক্যামেরা বসাবে। সংবেদনশীল এলাকায় ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। সেই সিসি ফুটেজ ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
সিনিয়র অ্য়াডভোকেট সিইউ সিং জানিয়েছেন, ২৩টি প্রতিবাদ কর্মসূচি বলছে, দিল্লিতেই হবে । কিছু জায়গায় হয়েছে এই কর্মসূচি। সেখানে কিছু জায়গায় ঘৃণাসূচক মন্তব্য করা হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে আদালত।